Studypress News

অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৯

19 Aug 2019

জনসংখ্যা (২০১৮ সাময়িক প্রাক্কলন) ১৬ কোটি ৩৭ লক্ষ বা ১৬৩.৭ মিলিয়ন 
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার (২০১৭) : ১.৩৭% 
পুরুষ-মহিলা অনুপাত (২০১৭) ১০০.২ঃ১০০ 
জনসংখ্যার ঘনত্ব/ বর্গ কিলােমিটার (২০১৭) ;১,১০৩ জন।
স্থূল জন্মহার (প্রতি ১০০০ জনে) : ১৮.৫ জন 
স্থূল মৃত্যুহার (প্রতি ১০০০ জনে) ৫.১ জন 
শিশু মৃত্যুহার [এক বছরের কমবয়সী (প্রতি হাজার জীবিত জন্মে)] : ২৪ জন 

জনমিতিক পরিসংখ্যান, 
মহিলা (১৫-৪৯ বছর) প্রতি উর্বরতা হার : ২.০৫ জন
গর্ভ নিরােধক ব্যবহারের ২০১৭ হার : ৬২.৫% 
প্রত্যাশিত গড় আয়ুষ্কাল ৭২.০ বছর; পুরুষ ৭০.৬ বছর ও মহিলা ৭৩.৫ বছর 
প্রথম বিবাহে গড় বয়স : পুরুষ ২৫.১ বছর ও মহিলা ১৮.৪ বছর।
ডাক্তার ও জনসংখ্যার অনুপাত (২০১৮) ;১:১৭২৪ জন 
সুপেয় পানি গ্রহণকারী স্বাস্থ্য ও 'সামাজিক সেবা (২০১৭) : ৯৮% 
স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহারকারী (২০১৭) ৭৬.৮%
সাক্ষরতার হার (৭ বছর+) (২০১৭): ৭২.৩%; পুরুষ ৭৪.৩% ও মহিলা ৭০.২%। 

দারিদ্র পরিস্থিতি ২০১৮ > 
দারিদ্র্যের হার (%); ২১.৮ 
চরম দারিদ্র্যের হার (%) : ১১.৩।

জিডিপি > চলতি মূল্যে : ২৫,৩৬,১৭৭ কোটি টাকা। স্থির মূল্যে :১১,০৫,৫১৪ কোটি 

স্থির মূল্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার :৮.১৩% 
চলতি মূল্যে মাথাপিছু জিডিপি : ভিত্তি বছর ২০০৫-০৬ | ১,৫৩,১৯৭ টাকা বা ১,৮২৭ মার্কিন ডলার
চলতি মূল্যে মাথাপিছু জাতীয় আয়।= ১,৬০,০৬০ টাকা বা ১,৯০৯ মার্কিন ডলার। 

সঞ্চয় ও বিনিয়ােগ (জিডিপি'র %)। 
দেশজ সঞ্চয় : ২৩.৯৩ 
জাতীয় সঞ্চয় : ২৮.৪১ 
মােট বিনিয়ােগ : ৩১.৫৬ (সরকারি : ৮.১৭ ও বেসরকারি ২৩.৪০)

বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্য  
রপ্তানি আয় এফওবি : ২৭,১৪৪ মিলিয়ন ডলার
আমদানি ব্যয়, এফওবি : ৩৭,৮৩৯ মিলিয়ন ডলার

চলতি হিসাবের ২০১৮-১৯ জুলাই ১৮-ফেব্রুয়ারি ভারসাম্য  ৪,২৭০ মিলিয়ন ডলার 
সার্বিক ভারসাম্য : (-) ৪৯৯ মিলিয়ন ডলার 
প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থ ২০১৯ (জুলাই'১৮-মার্চ '১৯);১১,৮৬৯ মিলিয়ন ডলার
বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ (৩০ এপ্রিল ২০১৯): ৩২,১২৩ মিলিয়ন ডলার

শ্রমশক্তি ও কর্মসংস্থান (লেবার ফোর্স সার্ভে ২০১৬-১৭) 
মােট শ্রমশক্তি (১৫ বছর+) :৬.৩৫ কোটি; 
পুরুষ ৪.৩৫ কোটি ও 
মহিলা ২.০ কোটি  I 

খাত অনুযায়ী শ্রমশক্তিতে নিয়ােজিত : 
কৃষি ৪০.৬%; 
শিল্প ২০.৪% 
ও সেবা ৩৯%

পরিবহন (ফেব্রুয়ারি ২০১৯) 
মােট সড়ক ২১,৫৯৬ কিমি 
মহাসড়ক » জাতীয়: ৩,৯০৬ কিমি। আঞ্চলিক: ৪,৪৮৩ কিমি। 
ফিডার/জেলা রােড :১৩,২০৭ কিমি 
রেলপথ :২,৯৫৬ কিমি। 

আর্থিক পরিসংখ্যান 
মােট ব্যাংক ; ৫৯টি 
রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক : ৬টি। 
বিশেষায়িত ব্যাংক : ৩টি। 
বেসরকারি (ফেব্রুয়ারি ২০১৯) ব্যাংক : ৪১টি। 
বৈদেশিক ব্যাংক : ৯টি 
ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান : ৩৪টি।

রিজার্ভ মুদ্রা, ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২,২৬,৭৪৩ কোটি টাকা 
# মূল্যস্ফীতি২০১৮-১৯ (জুলাই-মার্চ ২০১৯) : ৫.৪৪%


বর্তমানে দেশের মোট জনগণের ৯৩% বিদ্যুৎ (নবায়নযােগ্য জ্বালানিসহ) সুবিধার আওতায় এসেছে। 
দেশে আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র ২৭টি। 
প্রাকৃতিক গ্যাস দেশের মােট বাণিজ্যিক জ্বালানি ব্যবহারের প্রায় ৭১% পূরণ করেছে।
জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত দেশের মােট মােবাইল ফোন গ্রাহক সংখ্যা দড়িয়েছে ১৫.৭৫ কোটিতে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নারী শিক্ষকের হার ২০১৮ সালে ৬৪.১৮%।
২০১৮-১৯ অর্থছরে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে শীর্ষ দেশ যুক্তরাষ্ট্র।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশে সময় বেশি পণ্য আমদানি করা হয় চীন থেকে।  
২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসে সৌদি আরব থেকে 
২০১৯ বৈদেশিক মুদ্রার স্থিতি রিজার্ভ ৩২.১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। 
জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অনুমােদন দেয়া হয় ৮৮টি (সরকারি ৬১ ও বেসরকারি ২৭টি)। 
শ্রমশক্তি জরিপ ২০১৬-১৭ অনুযায়ী, ১৫ বছর বয়সের উধের্থ অর্থনৈতিকভাবে কর্মক্ষম শক্তি ৬.৩৫ কোটি; পুরুষ ৪.৩৫ কোটি ও মহিলা ২.০ কোটি। 
দেশের রপ্তানি আয়ের ১.৯% আসে মৎস্য খাত হতে।
মাথাপিছু দৈনিক মাছ গ্রহণের পরিমাণ ৬২.৫৮ গ্রাম। | 
মিয়ানমার ও ভারতের সাথে বঙ্গোপসাগরের সীমা নির্ধারণের বিষয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের যুগান্তকারী রায়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত করেছে ১,১৮,৮১৩ বর্গকিলোমিটার এলাকায়।  
বর্তমানে বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের (BGMC) নিয়ন্ত্রণাধীন মিল-কারখানার সংখ্যা ২৬টি। 
বাংলাদেশে বর্তমানে মােট EPZ রয়েছে ৮টি। । 
বর্তমানে দেশে চাহিদার প্রায় ৯৮% ঔষধ দেশে উৎপাদিত হয়।

বর্তমানে বাংলাদেশের ৫৪টি ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন প্রকারের ঔষধ ও ঔষধের কাঁচামাল উন্নত বিশ্বের ইউরােপ ও আমেরিকাসহ ১৪৬টি। দেশে রপ্তানি করছে।
দেশে ২৭২টি অ্যালােপ্যাথিক ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বছরে ২৯,৫৫৮টি ব্র্যান্ডের ঔষধ উৎপাদন করছে। 
বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বাের্ড (BAB) ২০১২ সালে প্রথম অ্যাক্রেডিটেশন প্রদান করে এবং ২০১৮ সাল পর্যন্ত দেশীয় ও বহুজাতিক মােট ৭১টি প্রতিষ্ঠানকে অ্যাক্রেডিটেশন প্রদান করেছে। 

দেশে সেক্টরভিত্তিক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা শিল্প টি; বিদ্যুৎ গ্যাস ও পানি জটি; পরিবহন ও যােগাযােগ ৭টি; বাণিজ্য ৩টি; কৃষি ২টি; নির্মাণ ৬টি এবং সার্ভিস ১৯টি। 

দেশে চার লেন জাতীয় মহাসড়ক রয়েছে ৪১৭ কিলােমিটার। 
বর্তমানে ২৯৫৫.৫৩ কিলােমিটার দীর্ঘ রেললাইনের নেটওয়ার্ক দেশের ৪৪টি জেলাসহ প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানকে সংযুক্ত করেছে। 
দেশে মােট সমুদ্র বন্দর ৩টি চট্টগ্রাম, মােংলা ও পায়রা। 
সমুদ্রপথে ৯২% আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পন্ন হয়ে থাকে চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে। 
দেশে বর্তমানে স্থল বন্দরের মােট সংখ্যা ২৩টি।
বর্তমানে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের বহরে জাহাজ রয়েছে ৭টি। 
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) অধীনে ৩টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও ৭টি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর এবং ২টি স্টলপাের্ট রয়েছে। 
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড বর্তমানে ৭টি অভ্যন্তরীণ ও ১৫টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যে সার্ভিস পরিচালনা করছে।

বাংলাদেশ বিমানের আন্তর্জাতিক গন্তব্যসমূহ-
সার্কভুক্ত দেশে ২টি, 
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ৪টি 
মধ্যপ্রাচ্যে ৮টি এবং 
ইউরােপে ১টি

বাংলাদেশ ডাকবিভাগ সারা দেশে ডাক সেবা প্রদান করে যাচ্ছে ৯,৮৮৬ ডাকঘরের মাধ্যমে।
বর্তমানে বাংলাদেশে মােট জনসংখ্যার ৫৮,৭% কর্মক্ষম।
দেশে মােট ২৫ ধরনের প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। 
বর্তমানে দেশে মােট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১,৩৪,১৪৭টি। 
বর্তমানে প্রাথমিক স্তরে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির হার ৪৯.২৫: ৫০.৭৫। 
২০১৯ সালে প্রথম প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে সারা দেশে ৫টি ক্ষুদ্র নৃ-গােষ্ঠীর (চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারাে ও সাদরি) শিক্ষার্থীদের
মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হয়।
২০১৭ শিক্ষাবর্ষে সর্বপ্রথম বিনামূল্যে ব্রেইল পদ্ধতির পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করা হয়। 
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবাের্ড কর্তৃক অনুমােদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৮,৮৫২টি; সরকারি ১১৯টি ও বেসরকারি ৮,৭৩৩টি। 
বর্তমানে সারাদেশে এমপিওভুক্ত মাদ্রাসা রয়েছে ৭,৬২৪টি। 
সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (EPI) আওতায় যে ১০টি রােগ প্রতিরােধের টিক প্রদান করা হচ্ছে ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, ধনুষ্টংকার, পোলিও, হাম, যক্ষা, হেপাটাইটিসবি, হিমােফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি (HIB), নিউমােকক্কাল নিউমােনিয়া এবং রুবেলা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO বাংলাদেশকে পোলিও মুক্ত দেশ হিসেবে ঘোষণা করে ২০১৪ সালে। 
বর্তমানে সারাদেশে টিকা গ্রহণকারী শিশুর হার ৮৫% 
প্রথমবারের মত গ্রাম/ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক সেবা কার্যক্রম চালু করা হয় ১৯৯৮ সালে।  
 
বর্তমানে সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক সম্পূর্ণরূপে কার্যকর রয়েছে ১৩,৭৭৯টি।
দেশের মােট জনসংখ্যার প্রায় এক পঞ্চমাংশই কিশোর-কিশোরী। 
দেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে ছাত্রছাত্রীর ভর্তির আসনসংখ্যা ১২,৬১১টি।
প্রতিষ্ঠান ও আসন সংখ্যা: 
সরকারি,৩৬টি মেডিকেল কলেজ ৪,০৬৮। 
১টি আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ ১২৫
৫টি আর্মি মেডিকেল কলেজ ২৫০ 
৯টি ডেন্টাল কলেজ ৫৩২ 
খ, বেসরকারি ৬৯টি মেডিকেল কলেজ ৬,২৩১ 
২৬টি ডেন্টাল কলেজ ১,৪০৫।
মােট |১২,৬১১

তিন বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্স চালু রয়েছে দেশের ৪৩টি সরকারি নার্সিং প্রতিষ্ঠানে; আসন ২,৫৮০টি।
৪ বছর মেয়াদি বিএসসি ইন নার্সিং কোর্স পরিচালিত হচ্ছে ৭টি নার্সিং কলেজে। 
সরকার কর্মজীবী মহিলাদের জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, যশাের ও রাজশাহীতে মােট ৫টি কর্মজীবী মহিলা হােস্টেল পরিচালনা করছে। 
২০১৮ সালে দেশে দারিদ্র্যের হার ২১.৮%। 
সরকার পরিচালিত উল্লেখযােগ্য কয়েকটি সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম- একটি বাড়ি একটি খামার, আশ্রয়ন, ঘরে ফেরা।
বর্তমানে সারা দেশে নিবন্ধিত সমবায় সমিতি রয়েছে ১,৭৫,৩১০টি; 
জাতীয় পর্যায়ে ২২টি, কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ১,১৯১টি এবং প্রাথমিক সমিতি ১,৭৪,৭০৯টি।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ এনজিও ব্র্যাক দেশের সবচেয়ে বড় ক্ষুদ্র ঋণদানকারী সংস্থা।