Studypress Blog
প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
22 Aug 2018
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ
সময়কাল- ১৯১৪-১৮
শুরু হয়- ২৮ জুলাই ১৯১৪
১৯১৪ সালের ২৮ জুন বসনিয়ার রাজধানী সারায়েভো শহরে অস্ট্রিয়ার যুবরাজ আর্কডিউক ফ্রানৎস ফার্ডিনান্ড এক সার্বিয়াবাসীর গুলিতে নিহত হন। অস্ট্রিয়া এ হত্যাকাণ্ডের জন্য সার্বিয়াকে দায়ী করে এবং ওই বছরের ২৮ জুন সার্বিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এ যুদ্ধে দুদেশের বন্ধু রাষ্ট্রগুলো ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়ে। এভাবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের (১৯১৪-১৯১৮) সূচনা হয়। তবে অস্ট্রিয়ার যুবরাজ হত্যাকাণ্ডই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একমাত্র কারণ ছিল না। উনিশ শতকে শিল্পে বিপ্লবের কারণে সহজে কাঁচামাল সংগ্রহ এবং তৈরি পণ্য বিক্রির জন্য উপনিবেশ স্থাপনে প্রতিযোগিতা এবং আগের দ্বন্দ্ব-সংঘাত ইত্যাদিও প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের কারণ।
অক্ষশক্তি- জার্মানি, অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, তুরস্ক ও বুলগেরিয়া
মিত্রশক্তি- ফ্রান্স, বৃটেন, রাশিয়া, ইতালি, যুক্তরাষ্ট্র, রুমানিয়া, জাপান, বেলজিয়াম, সার্বিয়া, গ্রিস, পর্তুগাল ও মন্টিনিগ্রো (জয়ী)
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন-উড্রো-উইলসন
জার্মানি আত্মসমর্পণ করে/ যুদ্ধ শেষ হয়- ১১ নভেম্বর ১৯১৮
বিশ্বযুদ্ধের ফলে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য লীগ অব নেশনস এর জন্ম হয়
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
সময়কাল-১৯৩৯-৪৫
শুরু হয়- ১ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি তার সম্পদ, সম্মান এবং ক্ষমতার প্রায় সবটুকুই হারিয়ে বসে। এর সাম্রাজ্যবাদী চিন্তাধারার মূল কারণ ছিল জার্মানির হৃত অর্থনৈতিক, সামরিক এবং ভূমিকেন্দ্রিক সম্পদ পুণরুদ্ধার করা এবং পুণরায় একটি বিশ্বশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা। এর পাশাপাশিপোল্যান্ড এবং ইউক্রেনের সম্পদসমৃদ্ধ ভূমি নিয়ন্ত্রণে আনাও একটি উদ্দেশ্য হিসেবে কাজ করেছে। জার্মানির একটি জাতীয় আকাঙ্ক্ষা ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরপর সম্পাদিত ভার্সাই চুক্তি হতে বেরিয়ে আসার। এরই প্রেক্ষাপটে হিটলার এবং তার নাজি বাহিনীর ধারণা ছিল যে একটি জাতীয় বিপ্লবের মাধ্যমে দেশকে সংগঠিত করা সম্ভব হবে।
অক্ষশক্তি- জার্মানি, ইতালি ও জাপান (আরো ছিল- হাঙ্গেরি, রুমানিয়া, বুলগেরিয়া ও থাইল্যান্ড)
মিত্রশক্তি- রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, চিন, ফ্রান্স ও পোল্যান্ড (আরো ছিল- কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুগোশ্লাভিয়া, গ্রিস, নরওয়ে, নেদারল্যান্ড, বেলজিয়াম, চেকোস্লোভাকিয়া, ফিলিপাইন ও ব্রাজিল)
তৎকালিন- যুক্তরাষ্ট্রের পেসিডেন্ট- ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট, ট্রুম্যান
বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী- উইনস্টন চার্চিল
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট- যোসেফ স্ট্যালিন
তৎকালিন- জার্মানির ফ্যুয়েরার- এডলফ হিটলার
ইতালির প্রেসিডেন্ট- মুসোলিনি
জাপানের সম্রাট- হিরোহিতো
যুক্তরাষ্ট্র এটোম/পারমাণবিক বোমা হামলা করে-
জাপানের হিরোশিমা (৬ আগস্ট ’৪৫; বোমার নাম- লিটল বয়) ও
নাগাসাকিতে (৯ আগস্ট, ’৪৫; বোমার নাম- ফ্যাটম্যান)
পারমাণবিক বোমা হামলার সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট- ট্রুম্যান
মরুভূমিতে যুদ্ধ করে ‘ডেজার্ট ব্যাট’ উপাধি পান- জেনারেল মন্টোগোমারি (বৃটেন)