Studypress Blog
English learning
08 Oct 2023
Historic 7th March
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ
For Bangladesh, several days are embossed in gold in its history. March 7 of 1971 is one of them, for it turned the course of history for the nation and the subcontinent as a whole. The day, 49 years ago, stands out for two main reasons—the oratorial brilliance of Bangabandhu demonstrated in the 23 minutes of extempore delivery tempered by logic, reason and sobriety, and delivered without a pause or hesitation. It stands out also for the substance as well as the soul of the words that Bangabandhu uttered in the impassioned speech to the Bengalis in 1971, which will rate among the best speeches by any world leader in the annals of world history. It was also the day that the nation, under Bangabandhu's direction, started its final preparation for the concluding stages of the liberation of the people and the formation of an independent nation, with a Flag and a Country of its own. It laid out clear guidance for the Bengalis as to how to conduct themselves during the interregnum and issued a warning to the Pakistani military junta to shun the path of violence and force.
বাংলাদেশের ইতিহাসে বেশ কয়েকটি দিন স্বর্ণাক্ষরে খোদিত। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ তাদের মধ্যে অন্যতম, কারণ এটি সমগ্র জাতি এবং উপমহাদেশের ইতিহাসের গতিপথকে পরিবর্তন করেছিল। ৪৯ বছর আগের এই দিনটি দুটি প্রধান কারণে স্বরণীয়- বঙ্গবন্ধুর ২৩ মিনিট দীর্ঘ উপস্থিত বক্তৃতার উজ্জ্বলতা, যা ছিল ঠান্ডা মাথার যুক্তি, উদ্দেশ্য সমৃদ্ধ এবং তিনি কোন রকম বিরতি বা দ্বিধা ছাড়াই বক্রৃতা দিয়েছিলেন। এই দিনটি ১৯৭১ সালে বাঙালিদের প্রতি অনুভূতিপূর্ণ ভাষণে বঙ্গবন্ধু যে কথাগুলো বলেছিলেন, তার বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ মর্মার্থের জন্যেও স্বরণীয়, যে ভাষণ বিশ্ব ইতিহাসে যে কোনও বিশ্ব নেতার দেয়া ভাষণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। এদিনে এই জাতি, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায়, জনগণের মুক্তি ও একটি পতাকা এবং একটি নিজস্ব দেশ নিয়ে একটি স্বাধীন জাতি গঠনের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করেছিল, এটি আন্তঃজাগরণের সময় কীভাবে নিজেদের পরিচালনা করবে সে সম্পর্কে বাঙালিদের সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে এবং পাকিস্তানি সামরিক জান্তাকে সহিংসতা ও বল প্রয়োগের পথ থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার জন্য একটি সতর্কতা জারি করেছিল।
The speech, which has been included in UNESCO'S Memory of the World Register as a "documentary heritage", encapsulates brilliantly the struggle of the Bengalis for their political rights. For the Bengalis, post-1947 was the continuation of the yoke of deprivation and repression under British rule, despite being the majority.
"ডকুমেন্টারি হেরিটেজ" হিসাবে ইউনেস্কোর মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত হওয়া এই ভাষণটি বাঙালিদের রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের অসাধারণ সংগ্রামের সারসংক্ষেপ। সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও বাঙালিদের উপর ১৯৪৭-এর পরও ব্রিটিশ শাসনের অধীনের মত বঞ্চনা ও দমন-পীড়নের ধারাবাহিকতা্ বজায় ছিল।
The speech was also effectively a declaration of the independence of Bangladesh, if not a direct call to arms. For the final words of the memorable speech, "The struggle this time is for emancipation; the struggle this time is for independence", carries no other meaning. And those are the words that launched the people into the final phase of the independence struggle of the Bengalis, our glorious Liberation War, from March 26, 1971.
ভাষণটি, সসস্ত্র সংগ্রামের সরাসরি ডাক না হলেও, কার্যকরভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা ছিল। স্মরণীয় বক্তৃতার চূড়ান্ত শব্দগুলো, "এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম; এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম", অন্য কোনও অর্থ বহন করে না। এবং ২৬ শে মার্চ, ১৯৭১ সালে এই শব্দগুলি জনগণকে বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রাম, আমাদের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যায়।