Studypress Blog
English learning
15 Jul 2023
Martyred Intellectuals Day
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
Yesterday, on Martyred Intellectuals Day, we mourned the brutal murders of many of our brightest and most enlightened men and women of this land at the hands of the Pakistani Army and their collaborators during the Liberation War of 1971. It is a day of national mourning because the void left by so many intellectuals, individuals dedicated to their respective fields and also devoted to their motherland, can never be filled no matter how much time has passed. It started from the black night of March 25th when the Pakistan Army unleashed a reign of terror on the people, indiscriminately killing unarmed men, women and children in a campaign of genocide. The occupying forces, with the help of local collaborators, decided to clamp down (শক্ত হাতে দমন করা) on the spirit of the people by annihilating (হত্যা/ধ্বংস করা) one of their most precious possessions—their intelligentsia who were also clearly committed to the Liberation movement. Yet what is most shocking is that after 48 years we still do not have an official list of martyred intellectuals at the Ministry of Liberation War Affairs. Is it so hard for us to find out the names of these precious individuals? Are they not Freedom Fighters?
গতকাল, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আমরা শোক প্রকাশ করেছিলাম, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং তাদের সহযোগীদের কর্তৃক এই দেশের অনেক উজ্জ্বল এবং সবচেয়ে আলোকিত নারী-পুরুষের নৃশংস হত্যাকান্ডের কথা স্বরণ করে। এটি জাতীয় শোকের দিন কারণ, যত সময়ই কেটে যাক না কেন বুদ্ধিজীবী, স্ব স্ব ক্ষেত্রে নিবেদিত ব্যক্তি এবং মাতৃভূমির প্রতি একনিষ্ঠ ব্যক্তিদের শূণ্যতা কখনই পূরণ করা যায় না । এটি ২৫ শে মার্চের কালো রাত থেকে শুরু হয়েছিল, যখন পাকিস্তান সেনাবাহিনী গণহত্যা অভিযানের মাধ্যমে নিরস্ত্র পুরুষ, মহিলা ও শিশুদের নির্বিচারে হত্যা করেছিল, জনগণের উপর আতঙ্কের এক রাজত্ব সৃষ্টি করেছিল। দখলদার বাহিনী স্থানীয় সহযোগীদের সহায়তায় জনগণের চেতনা শক্তহাতে দমন করার জন্য তাদের অন্যতম মূল্যবান সম্পদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে,যারা স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি স্পষ্ট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। তবুও সবচেয়ে বিস্ময়ের বিষয়টি হলো ৪৮ বছর পরেও আমাদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের একটি সরকারী তালিকা নেই। এই মূল্যবান ব্যক্তিদের নাম খুঁজে পাওয়া কি আমাদের পক্ষে এত কঠিন? এরা কি মুক্তিযোদ্ধা নয়?
On March 25 the Pakistani Army targeted the university hostels and staff quarters, rounding up students and teachers, mercilessly torturing and killing them. Throughout the war, this was the strategy taken by the Pakistani forces and between December 10-15, only a few days before they would have to surrender to the allied forces marking the birth of Bangladesh, our Victory Day, another spree of killing took place, during which countless number of intellectuals were abducted, tortured, killed and their bodies dumped in various places. Those martyred intellectuals included teachers, writers, singers, journalists, doctors, etc., people who would have been invaluable to a brand-new nation ready to fulfil the dreams of its liberated people. Can we even imagine what we have lost? Can we even fathom the contribution these individuals would have made in our nation’s overall development?
২৫ শে মার্চ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রাবাস এবং কর্মীদের আবাসস্থলকে তাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করে, ছাত্র ও শিক্ষকদের গ্রেপ্তার করে, নির্মমভাবে নির্যাতন করে এবং হত্যা করে। পুরো যুদ্ধ চলাকালীন, পাকিস্তানী বাহিনী এই কৌশল নিয়েছিল এবং আমাদের বিজয় দিবসের অল্প কিছুদিন আগে যখন পাকিস্তানীদের বাংলাদেশের জন্মদিন উপলক্ষে মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে এমন সময়, ১০-১৫ ডিসেম্বরে, তাদের হত্যার নেশা জেগে উঠেছিল , অসংখ্য বুদ্ধিজীবী অপহরণ করা হয়েছিল, নির্যাতন করা হয়েছিল, হত্যা করা হয়েছিল এবং তাদের মৃতদেহ বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে শিক্ষক, লেখক, গায়ক, সাংবাদিক, ডাক্তার, ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত ছিল, যারা অমূল্য সম্পদ হতো একটি সম্পূর্ণ নতুন জাতির জন্য, যে জাতি মুক্ত হওয়া মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত । আমরা কী কী হারিয়েছি তা কল্পনাও করতে পারি না? এমনকি এই ব্যক্তিরা আমাদের দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে যে অবদান রাখতে পারতো তা কী আমরা অনুধাবন করতে পারি?
While we have managed to get back on our feet and made remarkable progress, we cannot deny that had those lives not been cut short so early, Bangladesh would have gone even further ahead. The first step to honour these individuals is to know who they were, what they did and find their families and give what is due to them. Apart from more well-known names, many of the intellectual martyrs remain unnamed. It is time to make a list of our martyred intellectuals and honour each and every one of them.
যদিও আমরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছি এবং উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছি, তবে আমরা অস্বীকার করতে পারি না যে, যদি এত তাড়াতাড়ি তাদের জীবন শেষ হয়ে না যেত, তবে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যেতে পারত। এই ব্যক্তিদের সম্মানের জন্য প্রথম পদক্ষেপ হলো তারা কে ছিল, তারা কী করেছিল তা জানা এবং তাদের পরিবারবর্গদের খুঁজে বের করে তাদের যা প্রাপ্য তা প্রদান করা। অধিক সুপরিচিত ব্যক্তি ছাড়া আরো অনেক বুদ্ধিজীবী শহীদ হয়েছেন যাদের নাম জানা যায় নি। আমাদের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের একটি তালিকা তৈরি করা এবং তাদের প্রত্যেককে সম্মান জানানোর এখনই উপযুক্ত সময়।