Studypress News

বজ্রপাতকে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা

17 May 2016

বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে বিবেচনা করছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। গেল সপ্তাহের বৃহস্পতি ও শুক্রবার ঝড়বৃষ্টির মধ্যে বজ্রপাতে সারা দেশে মোট ৮১ জনের মৃত্যু হয় বলে জানিযেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

সরকারি নথিতে বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে গণ্য করা হতো না। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত জাতীয় পরিকল্পনা ২০১০-১৫-এ মোট ১২টি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা উল্লেখ আছে। তবে এর মধ্যে বজ্রপাত নেই। বজ্রপাতে হতাহতের ঘটনাকে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। এ বিষয়টি জাতিসংঘের পরবর্তী জলবায়ুবিষয়ক সম্মেলনে উত্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ

#  বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গা, খোলা মাঠ বা উচুঁ স্থানে না থাকাই ভালো।

#  বজ্রপাতের সময় চামড়ার ভেজা জুতা বা খালি পায়ে থাকা বিপজ্জনক। একান্ত বের হতে হলে রাবারের জুতো ব্যবহার করা উচিত।

# বজ্রপাতের সময় ধানক্ষেত বা খোলা মাঠে থাকলে তাড়াতাড়ি হাঁটু গেড়ে, কানে আঙুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসে পড়া উচিত।

#  যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে হবে। টিনের চালা যথা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।

# উঁচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক তার বা ধাতব খুঁটি, মোবাইল ফোনের টাওয়ার থেকে দূরে থাকাই নিরাপদ হবে।

# কালো মেঘ দেখা দিলে নদী, পুকুর, ডোবা বা জলাশয় থেকেও দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

#  বজ্রপাতের সময় গাড়ির ভেতরে থাকলে, ধাতব অংশের সঙ্গে শরীরের সংযোগ এড়িয়ে চলতে হবে। সম্ভব হলে গাড়ি নিয়ে কোনো কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে হবে।

#  বাড়িতে থাকলে বজ্রপাতের সময় জানালার কাছাকাছি বা বারান্দায় থাকা নিরাপদ হবে না।

#  বজ্রপাতের সময় বাড়ির জানালা বন্ধ রাখা উচিত। ঘরের ভেতরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকেও দূরে থাকা প্রয়োজন।

#  মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ল্যান্ডফোন, টেলিভিশন, ফ্রিজসহ সকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে এবং সেগুলো বন্ধ রাখতে হবে।

#  ধাতব হাতলের ছাতা ব্যবহার না করাই ভালো।

#  বজ্রপাতের সময় ছাউনিহীন নৌকায় মাছ ধরতে যাওয়া নিরাপদ নয়। ওই সময় নদীতে থাকলে নৌকার ছাউনির নিচে থাকা উচিত।

# বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ না করাই নিরাপদ।

#  বিপদ এড়াতে প্রতিটি ভবনে বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন নিশ্চিত করতে হবে।