Studypress News

বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন -২০১৪ অনুষ্ঠিত

04 Mar 2015

সংহতি ও সমৃদ্ধির জন্য অংশীদারিত্ব এই প্রতিপাদ্যে ৪ মার্চ,২০১৪ সালে  মায়ানমারের রাজধানী নাইপিদোতে অনুষ্ঠিত হয় বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন।

বে অব বেঙ্গল ইনিসিয়েটিভ মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক) নামের এই সাত জাতির জোটের শীর্ষ নেতারা অংশ নিয়েছেন এই সম্মেলনে।

বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী দেশগুলো নিয়ে ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করেছিল বিমসটেক (বহুপক্ষীয় কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার বঙ্গোপসাগরীয় উদ্যোগ)। এ সংস্থার স্থায়ী সচিবালয় হবে ঢাকায়। মিয়ানমারের রাজধানী নাইপিদোতে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে এ ব্যাপারে একটি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বিমসটেকের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, ভুটান ও নেপাল।

সম্প্রতি নাইপিদোতে সমাপ্ত দুদিনব্যাপী বিমসটেক সম্মেলনে সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা তিনটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। চুক্তিগুলো হল- ১. ঢাকায় বিমসটেকের স্থায়ী সচিবালয় নির্মাণ, ২. ভারতে সেন্টার ফর ওয়েদার অ্যান্ড ক্লাইমেট স্থাপন এবং ৩. ভুটানে কালচারার ইন্ডাস্ট্রিজ কমিশন ও বিমসটেক কালচারাল ইন্ডাস্ট্রিজ অবজারভেটরি গঠন।

এ জোটের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৭ সালের ৬ জুন ব্যাংককে। তখন এর নাম ছিল বিসটেক- বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, শ্রীলংকা অ্যান্ড থাইল্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন। একই বছর ২২ ডিসেম্বর জোটে মিয়ানমারের অন্তর্ভুক্তির কারণে এর নামকরণ করা হয় বিমসটেক। তবে ২০০৪ সালে নেপাল ও ভুটানের যোগদানের পর এর নাম আরেক দফা পরিবর্তন করে রাখা হয় বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন বা বিমসটেক। এই জোটের অগ্রাধিকারমূলক খাতগুলো হল ব্যবসা ও বিনিয়োগ, জ্বালানি, মৎস্য, পর্যটন, প্রযুক্তি, কৃষি, জনস্বাস্থ্য, দারিদ্র্য দূরীকরণ, সংস্কৃতি, পরিবেশ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সন্ত্রাসবাদ ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় অপরাধ ইত্যাদি।

বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অঞ্চলের সব মানুষের মর্যাদা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তৃতীয় সম্মেলনের শেষে নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালার হাতে জোটের চেয়ারপারসনের দায়িত্ব হস্তান্তর করেন মিয়ারমারের প্রেডিডেন্ট থেইন সেইন।