Studypress News

পানামা পেপারস: ‘ক্রাইম অব দ্য সেঞ্চুরি’

04 Apr 2016

গোপনীয়তা রক্ষাকারী হিসেবে স্বীকৃত পৃথিবীর অন্যতম আইনি প্রতিষ্ঠান পানামার মোস্যাক ফনসেকা Mossack Fonseca।  সেখান থেকেই সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে ১১ মিলিয়ন নথিপত্র। ওই নথিপত্রগুলোকেই বলা হচ্ছে পানামা পেপারস। এসব নথিতে বেরিয়ে এসেছে বিশ্বের ধনী আর ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা কিভাবে কর ফাঁকি দিয়ে গোপন সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।

 নামে-বেনামে রাষ্ট্রপ্রধান, রাজনীতিক, শিল্পপতি, ফুটবলার, ফিল্ম স্টার সহ সমাজের মান্যগণ্য ব্যক্তিরা আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিদেশে কালো টাকা জমিয়ে চলেছেন। নামে ও বেনামে একের পর এক খুলে চলেছেন বেআইনি কোম্পানি। আর দিয়ে চলেছেন আয়কর ফাঁকি। নাম রয়েছে বিশ্বের অন্তত ১৪০ জন রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রথম সারির রাজনীতিকের।

মোস্যাক ফনসেকা

পানামাভিত্তিক বিশ্বখ্যাত গোপনীয়তা রক্ষাকারী আইনি প্রতিষ্ঠান মোস্যাক ফনসেকা মক্কেলদের পরামর্শ বাবদ বার্ষিক ফি গ্রহণ করে। বিশ্বের ৪২টির বেশি দেশে প্রতিষ্ঠানটির শাখা রয়েছে।

ফাঁস হয়েছে ১কোটি ১০ লাখ নথি

দুনিয়াজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে মোস্যাক ফনসেকা’র এক কোটি ১০ লাখ গোপন নথি ফাঁস হওয়ার পর। এরই মধ্যে যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্রাইম অব সেঞ্চুরি’। ধনী আর ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা কিভাবে কর ফাঁকি দিয়ে গোপন সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এসব নথিতে বেরিয়ে এসেছে বিশ্বের। এটা  ২০১০ সালে উইকিলিকসের ফাঁস করা নথির চেয়েও বেশি।

কী রয়েছে নথিতে

কিভাবে গোপনীয়তার আড়ালে ল’ ফার্মটি বিশ্বনেতাদের অর্থপাচার, নিষেধাজ্ঞা এড়ানো এবং কর ফাঁকিতে সহযোগিতা করেছে, ফাঁস হওয়া নথিগুলোতে তা দেখা যাচ্ছে । এতে আরও উঠে এসেছে, স্বৈরশাসকসহ বিশ্বের সাবেক ও বর্তমান রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানের নিজেদের দেশ থেকে অর্থ লোপাটের ভয়াবহ চিত্র।

কিভাবে ফাঁস হলো ওইসব নথি

তদন্তটি চালিয়েছেন ‘ইন্টারন্যাশনাল কনসর্টিয়াম অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস’ (আইসিআইজে)-এর ৩০০ জন সাংবাদিক। আর তাঁদের তথ্য সরবরাহ করে সহযোগিতা করেছে ‘মোজাক ফনসেকা’।

(ছবি: বিবিসি)