Studypress News

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ অর্থ চুরি

09 Mar 2016

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকে বাংলাদেশের সঞ্চিত ১০ কোটি ডলার চীনা হ্যাকাররা হাতিয়ে নেয় বলে সম্প্রতি ফিলিপিন্সের একটি সংবাদপত্র প্রকাশ করে।

তাতে বলা হয়, ব্যাংক চ্যানেলে ফিলিপিন্সে ওই অর্থ নিয়ে সেখান থেকে ক্যাসিনোসহ একাধিক হাত ঘুরে অন্য দেশে নিয়ে যাওয়া হয় বাংলাদেশের এই অর্থ।

লোপাট অর্থের একটি অংশ উদ্ধারের কথা (৭/০৩/২০১৬ তারিখ) সোমবারই জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।

তবে কী পরিমাণ অর্থ সরানো হয়েছিল এবং তার কতটুকু উদ্ধার হয়েছে, ‘তদন্তের স্বার্থে’ সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে যে তথ্য, তাতে ‘সিস্টেম হ্যাকড’ হওয়ার ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ সিস্টেমটি না ভেঙে যেহেতু সিস্টেমের মধ্যে ঢুকে ‘অ্যাডভাইস বা পরামর্শ’গুলো পাঠানো হয়েছে, তাই এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কারও যোগসূত্র রয়েছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

[] যেভাবে টাকা চুরি করেছে-(হ্যাকাররা) []

# এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে অর্থ স্থানান্তরের জন্য সংকেতলিপি (SWIFT Code) রয়েছে।

# আর বাংলাদেশ ব্যাংকের (SWIFT Code) ব্যবহার করেই ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অফ নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে হ্যাকারা।

# বাংলাদেশ ব্যাংকের কোড ব্যবহার করে অর্থ স্থানান্তরের ৩০টি পরামর্শ (অ্যাডভাইস) পাঠানো হয়েছিল ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কের কাছে।

# ওই ৩০ পরামর্শের মধ্যে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ৫টি পরামর্শ কার্যকর হয়। তাতে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার স্থানান্তরিত হয়ে যায় ফিলিপাইনে। ত্বরিত ব্যবস্থা নিয়ে বাকি ২৫টি পরামর্শের কার্যকারিতা থামানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ২৫টি পরামর্শ কার্যকর হয়ে গেলে তাতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকে রাখা রিজার্ভের আরও বড় অংশ চুরি হয়ে যেত। তাতে রিজার্ভে বড় ধরনের ধাক্কা লাগারও আশঙ্কা ছিল। চীনের হ্যাকাররা এ অর্থ সরিয়ে নিয়েছে।

এ চুরির ঘটনা নিয়ে (৮/০৩/২০১৬ইং তারিখ) মঙ্গলবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, "ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অফ নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে হ্যাকারদের হাতিয়ে নেওয়া অর্থ ফেরতে প্রয়োজনে মামলা করা হবে।"

*(SWIFT) Stands for = Society for Worldwide Interbank Financial Telecommunication.