Studypress News

দুর্নীতিতে ১৪তম বাংলাদেশ

03 Dec 2014

দুর্নীতির ধারণা সূচকে দুই ধাপ পিছিয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৪তম। গত বছর এ অবস্থান ছিল ১৬তম।

বুধবার সকাল ১০টায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) ‘বিশ্ব দুর্নীতির ধারণা সূচক ২০১৪’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশকালে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন সংগঠনটির বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
 
 
এ বছর দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় সূচকের ০-১০০ স্কেলে ২৫ স্কোর পেয়ে ১৭৫টি দেশের মধ্যে ঊর্ধ্বক্রম অনুসারে ১৪৫ তম এবং নিম্নক্রম অনুসারে ১৪তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

২০১৩ সালে সূচকে অন্তর্ভুক্ত ১৭৭টি দেশের মধ্যে নিম্নক্রম অনুযায়ী বাংলাদেশ ষোড়শ অবস্থানে ছিল। আর উর্ধ্বক্রম অনুযায়ী অবস্থান ছিল ১৩৬তম। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ২ পয়েন্ট কম পেয়েছে এবং ঊর্ধ্বক্রম অনুযায়ী ৯ ধাপ নিচে নেমেছে।

এবার ২০তম প্রতিবেদক প্রকাশ করলো টিআই। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সাতটি সূচকের জরিপ থেকে সূচক তৈরি করা হয়েছে।
 
উল্লেখ্য, সিপিআই বার্লিনভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্যারন্যাশনাল (টিআই)কর্তৃক প্রণীত ও প্রকাশিত একটি সূচক যা দুর্নীতির বিশ্বব্যাপী ব্যাপকতার একটি চিত্র তুলে ধরে। একটি দেশের রাজনীতি ও প্রশাসনে বিরাজমান দুর্নীতির ব্যাপকতা সম্পর্কে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণার ওপর ভিত্তি করে প্রণীত এই সূচকের মাধ্যমে দেশসমূহের দুর্নীতির অবস্থান নির্ণীত করা হয়।
 
৯২ স্কোর পেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে ডেনমার্ক। ৯১ স্কোর পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ড, ৮৯ স্কোর পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফিনল্যান্ড। আর ৮ স্কোর পেয়ে ২০১৪ সালে যৌথভাবে দুর্নীতির শীর্ষে অবস্থান করছে উত্তর কোরিয়া ও সোমালিয়া, এরপরে ১১ স্কোর পেয়ে দুর্নীতিতে দ্বিতীয় স্থানে আছে সুদান, ১২ স্কোর পেয়ে তৃতীয় স্থানে আছে আফগানিস্তান।
 
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ ভুটান (স্কোর ৬৫), এরপরের স্থানে ৩৮ স্কোর নিয়ে ভারত, শ্রীলংকা, ২৯ স্কোর নিয়ে এক সঙ্গে রয়েছে নেপাল ও পাকিস্তন, ২৫ স্কোর পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর ১২ স্কোর পেয়ে শীর্ষে রয়েছে আফগানিস্তান।
 
অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, “টিআইবির সব কার্যক্রম দুর্নীতির বিরুদ্ধে, সরকার বা এর কোনো অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নয়। জাতীয় স্বার্থ পরিপন্থী বা ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করে এমন কোনো কার্যক্রমও টিআইবি পরিচালনা করে না। টিআইবি কোনো রাজনৈতিক গোষ্ঠীর পক্ষে কাজ করে না, ব্যক্তি পর্যায়ে দুর্নীতির অনুসন্ধান, তথ্য প্রকাশের পদক্ষেপ গ্রহণ করে না। মূলত দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমকে কার্যকর ও দীর্ঘস্থায়ী করতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গ্রহীত কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পূরক ভূমিকা পালন করাই টিআইবির উদ্দেশ্য।”