Studypress News

সমগ্র আমেরিকাতে জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে যাবার সম্ভাবনাঃ WHO

26 Jan 2016

ল্যাটিন আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের পর এবার যুক্তরাজ্যেও ধরা পড়লো জিকা ভাইরাসের আক্রমণ। কলম্বিয়া, সুরিনাম এবং গায়ানা ফেরত তিন পর্যটকের দেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে।

 

মশাবাহিত জিকা ভাইরাস এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তির দেহে সরাসরি ছড়ায় না। তবে অল্প কিছু ক্ষেত্রে যৌনবাহিত হয়ে সঙ্গীর দেহে অথবা গর্ভবতী মায়ের প্ল্যাসেন্টার মাধ্যমে গর্ভের শিশুর মাঝে ভাইরাসটির সংক্রমণ হতে দেখা গেছে। জিকা প্রাকৃতিকভাবে যুক্তরাজ্যে পাওয়া যায় না।

 

এখন পর্যন্ত জিকা ভাইরাসঘটিত রোগের কোনো চিকিৎসা আবিষ্কার সম্ভব হয়নি।  মশাবাহিত এই ভাইরাসটি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য। মায়ের থেকে ভাইরাসটির সংক্রমণ ঘটছে সদ্যোজাত সন্তানের শরীরে। এ রোগে অপরিণত মস্তিষ্ক নিয়ে জন্ম হচ্ছে শিশুর। শেষে মৃত্যু, না হয় পঙ্গু-জীবন।

এ মুহূর্তে ব্রাজিলের ২০ রাজ্যে অন্তত ২৪০০ মানুষ মাইক্রোসেফালিতে আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে ২৯টি শিশুর। জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে ছ’টি রাজ্যে। উত্তর-পূর্ব ব্রাজিলের অবস্থা খুবই খারাপ। উত্তর-পূর্বেই প্রথমে সীমাবদ্ধ ছিল রোগটি। কিন্তু পরে রিও ডি জেনেইরো, সাও পাওলোতেও সদ্যোজাতদের মাইক্রোসেফালি ধরা পড়ে।

 

‘মাইক্রোসেফালি’ হচ্ছে এক ধরনের স্নায়ুরোগ। অপরিণত মস্তিষ্ক নিয়ে জন্ম হয় শিশুর। শরীরের অন্য অংশের তুলনায় মাথা অনেক ছোট হয়। বয়স বাড়লেও মাথার খুলি বাড়ে না। কিন্তু বাড়তে থাকে মুখমন্ডল। ফলে মুখ ক্রমশ অস্বাভাবিক চেহারা নিয়ে এগিয়ে আসতে থাকে মাথা থেকে। দেহের স্বাভাবিক বাড়-বৃদ্ধি ঘটে না। কথা বলার ক্ষমতাও তৈরি হয় না। বহু ক্ষেত্রে মৃত্যু হয় শিশুটির। ব্রাজিলে এ পর্যন্ত সব শিশুরই মৃত্যু হয়েছে।

ব্রাজিলের পাশাপাশি ল্যাটিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ার আরো অনেকগুলো দেশেও ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। জিকা এবং মাইক্রোসেফালির এই মহামারির ফলে কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, এল সালভাদোর এবং জ্যামাইকা সরকার বাধ্য হয়েই আপাতত নারীদের গর্ভধারণ না করতে পরামর্শ দিয়েছে।