Studypress News

৪১ প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৭৭ হাজার বেল কাঁচা পাট রপ্তানির অনুমোদন

11 Jan 2016

পণ্যে পাটের মোড়কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে গত ৩ ডিসেম্বর, ২০১৫ তারিখে সব ধরনের কাঁচা পাট রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার।

এ ঘোষণার ১২ দিনের মাথায় ১৫ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ‘স্বয়ংক্রিয় স্ক্যানিং’, ‘মেশিন কাট জুট’ (১০ থেকে ১২০ মিলিমিটার), ‘জুট সিলভার’ ও ‘জুট টো’ এই চার প্রক্রিয়ায় কাঁচা পাট রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত করে আদেশ জারি করে পাট মন্ত্রণালয়।

রপ্তানি অনুমোদন দিয়ে জারি করা ওই আদেশে বলা হয়েছে,

“রপ্তানিকারকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পাট অধিদপ্তর থেকে পাঠানো ৪১টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ২০১৫ সালের ৩ নভেম্বরের আগে ইস্যু করা ২৫১টি এলসির বিপরীতে দুই লাখ ৭৭ হাজার বেল কাঁচা পাট রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হল।”

পাট মন্ত্রণালয়ের হিসেবে,

দেশে বছরে প্রায় ১০ কোটি মোড়কের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি পাটকলগুলো থেকে আসে চার কোটি মোড়ক; বাকিটা যোগায় বেসরকারি পাটকল।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসেবে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশে ৭৫ লাখ বেল (এক বেলের ওজন ১৮২ কেজি) পাট উৎপাদিত হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের থেকে ৬৫ হাজার বেল থেকে বেশি।

তবে পাটের ফলন কম হওয়ায় চলতি অর্থ বছরে ৬৫ লাখ বেলের কাছাকাছি পাট উৎপাদিত হতে পারে বলে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের ধারণা।

বাংলাদেশ থেকে কাঁচা পাটের পাশাপাশি পাট সুতা, বস্তা, চট ও পাটের তৈরি বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয়। কাঁচা পাট বেশির ভাগটাই যায় ভারত ও পাকিস্তানে।

২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে সোয়া ৯ লাখ বেল কাঁচা পাট রপ্তানি হয়।