Studypress News

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করলো সরকার

24 Oct 2024

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তথ্যটি প্রকাশ করে  প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 


প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে হত্যা, নির্যাতন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ, যৌন নিপীড়নসহ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী নানা কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল ছাত্রলীগ। এসবের প্রমাণ দেশের সব গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতাকর্মীর অপরাধ আদালতেও প্রমাণ হয়েছে।


প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, গত ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাধারণ ছাত্রছাত্রী ও জনগণের ওপর আক্রমণ করে শত শত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিকে হত্যা করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা; অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক, উস্কানিমূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। সরকারের কাছে এসব কর্মকাণ্ডের যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।



রাষ্ট্রপতির আদেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন নামাঙ্কিত মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা-২-এর জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা ১৮-এর উপধারা (১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। এ আইনের তপশিল-২-এ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নামের ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হলো। আইনের ১৯ ধারা অনুযায়ী, নি‌ষিদ্ধের সিদ্ধান্ত পুন‌র্বিবেচনার আ‌বেদ‌নে ৩০ দিন সময় পা‌বে ছাত্রলীগ। আ‌বেদন কর‌লে সরকার তা ৯০ দি‌নের ম‌ধ্যে নিষ্প‌ত্তি কর‌বে। নি‌ষি‌দ্ধের সিদ্ধান্ত বহাল থাক‌লে ৩০ দি‌নের ম‌ধ্যে হাই‌কো‌র্টে আ‌পি‌লের সু‌যোগ পা‌বে সংগঠনটি।


সন্ত্রাসবি‌রোধী আইনের ২০.১(ঙ) ধারায় বলা হ‌য়ে‌ছে, ‘নিষিদ্ধ সত্তা কর্তৃক বা উহার পক্ষে বা সমর্থনে যে কোনো প্রেস বিবৃতির প্রকাশনা, মুদ্রণ বা প্রচারণা, সংবাদ সম্মেলন বা জনসম্মুখে বক্তৃতা প্রদান নিষিদ্ধ।’ সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন, এর আগের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনসহ বহু ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রলীগের ছাত্রবিরোধী অবস্থানের কারণে অনেকবার সংগঠনটি নিষিদ্ধের দাবি উঠেছিল।  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে লেখেন, ‘আজকে রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।  ভিসির বাসভবনের ফটকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়।’