Studypress News

পারমাণবিক বিদ্যুৎ চিরকালের জন্য ত্যাগ করছে জার্মানি

17 May 2023

জার্মানির প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যাত্রা শুরু করেছিল ১৯৬৭ সালে। ছয় মাস আগে পারমাণবিক বিদ্যুৎ থেকে সরে আসার কথা ছিল জার্মানির। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে ওই সময়সীমা কিছুটা বাড়ানো হয়।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রাশিয়া থেকে গ্যাস সরবরাহ কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর জার্মানিতে জ্বালানি–সংকটের আশঙ্কা বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু সরকারের তৎপরতায় দ্রুত বিকল্প উৎসের ব্যবস্থা হওয়ায় ব্ল্যাকআউট বা অন্য কোনো অঘটন ঘটেনি। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কাও মোটামুটি সামলে নেওয়া গেছে। ফলে পারমাণবিক বিদ্যুতের ওপর নির্ভরতার আর কোনো কারণ দেখছেন না বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞ।

এদিকে শনিবার বিদ্যুতের গ্রিড থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরও তিনটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পুরোপুরি বন্ধ হবে না। অনেক দিন ধরে সেই কাজের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নিরাপদে সেই প্রক্রিয়া চালাতে ধীরে ধীরে চুল্লিগুলো ঠান্ডা করতে হবে। পানি ভরা চুল্লির মধ্য থেকে ফুয়েল এলিমেন্ট বের করে নিতে হবে। কেন্দ্র ভেঙে ফেলার বিভিন্ন পর্যায়ের জন্য বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে। কেন্দ্রগুলো পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হতে বেশ কয়েক বছর, এমনকি কয়েক দশকও সময় লাগতে পারে।

জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রে বিপর্যয়ের পর জার্মানির সরকার ২০১১ সালে পারমাণবিক বিদ্যুৎ পুরোপুরি বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে ২০০২ সালেও তৎকালীন সরকার নীতিগতভাবে সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর নতুন করে কোনো কেন্দ্রের অনুমতি দেওয়া হয়নি।