
ভূমি কর শতভাগ অনলাইনে কার্যকর।
১২ এপ্রিল,২০২৩বুধবার ভূমি মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়, “ভূমি উন্নয়ন কর আদায় কার্যক্রমকে অধিকতর জনবান্ধব করার লক্ষ্যে পহেলা বৈশাখ থেকে ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইন তথা মোবাইল পেমেন্ট, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড পেমেন্ট বা ব্যাংকের মাধ্যমে আদায়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।“ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সেবাকে ক্যাশলেস হিসাবে পূর্ণাঙ্গভাবে ডিজিটালরূপে বাস্তবায়নে সব ভূমি মালিককে (ব্যক্তি ও সংস্থাসমূহ) যথাসময়ে ও নিয়মিতভাবে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।“
ভূমির মালিককে ldtax.gov.bd এই পোর্টালে প্রবেশ করে জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মতারিখ ও মুঠোফোন নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। ভূমি সেবা হটলাইন ‘১৬১২২’ নম্বরে ফোন করেও প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়েও নিবন্ধন করা যাবে। নিবন্ধন করা যাবে দেশের যেকোনো ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকেও। একবার নিবন্ধিত হলে পরে আর নিবন্ধনের প্রয়োজন হবে না।
ভূমির মালিক জেলা, উপজেলা, মৌজা ও জমির খতিয়ান নম্বর উল্লেখ করে আবেদন করলে তা সংশ্লিষ্ট ভূমি কার্যালয়ের ভূমি সহকারী কর্মকর্তার (তহশিলদার) কাছে চলে যায়। মালিকের দেওয়া তথ্য সঠিক থাকলে তহশিলদার একটি হোল্ডিং নম্বর খুলে দেন। ভূমিমালিক আবেদন করার তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে তহশিলদারকে আবেদনের অগ্রগতি জানাতে হয়। হোল্ডিং নম্বর পেলে ভূমির মালিক অনলাইনে কর দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে বিকাশ, নগদ, রকেটের মতো মুঠোফোনে আর্থিক সেবা, বিভিন্ন ব্যাংকের কার্ডসহ ৩৬ ধরনের পেমেন্ট টুলস ব্যবহার করে কর পরিশোধ করতে পারেন। ভূমির মালিককে কর পরিশোধের প্রমাণস্বরূপ দাখিলা অনলাইনেই দেওয়া হয়।
উপভূমি সংস্কার কমিশনার মুহাম্মদ কামরুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনা নিয়ে অনিয়মের যে খাত, সেগুলো বন্ধ হবে। নতুন ব্যবস্থাপনা হওয়ায় কিছু সমস্যা হচ্ছে। নিবন্ধনের পর ভূমির মালিকের দেওয়া তথ্য যাচাইয়ে কিছুটা সময় বেশি লাগছে। এই জটিলতা নিরসনে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।