Studypress News
ইউরো ২০২০ জিতলো ইতালি
12 Jul 2021
মাত্র ২ মিনিটে লুক শ’র দেয়া গোল প্রথমার্ধে ধরেও রেখেছিলো ১৯৬৬ সালের পর বড় কোন আসরের ফাইনাল খেলতে নামা ইংল্যান্ড। তবে বিরতির পর সব বদলে যায়। ইতালি তাদের ছন্দে ফিরে, আক্রমণের ধারও বাড়ে। আর সে ধারে ম্যাচের ৬৭ মিনিটে এনে দেয় সমতা। দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেনি ৩৩ ম্যাচে অপরাজিত থাকা ইতালি। তাইতো নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ম্যাচের মীমাংসা হয়নি। টাইব্রেকারের ভাগ্য পরীক্ষায় ৩-২ ব্যবধানে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ৫৩ বছর পর ইউরো শিরোপা রোমে নিয়ে গেলো মানচিনির শিষ্যরা।
প্রথমবারের মত ইউরোর ফাইনালে উঠে শিরোপাটি জয় করার জন্য যেন শুরু থেকেই মরিয়া ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় মিনিটে গোল আদায় করে ইতিহাসও গড়ে স্বাগতিকরা। যদিও গোল করেই রক্ষণকে জমাট বাধিয়ে ফেলে ইংলিশরা। গতিময় ফুটবল এবং পাল্টা আক্রমণের ধার কমিয়ে নিজেদের গোল রক্ষায় বেশি মনযোগ দেয় স্বাগতিকরা। ৬৭ মিনিটে ইনসিনিয়ের কর্নারে ভেরাত্তির হেড সাইড বারে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে পোস্টের সামনে থাকা লিওনার্দো বোনুচ্চি লক্ষ্যভেদ করতে ভুল করেননি। গোলকিপার পিকফোর্ড চেষ্টা করেও দলকে গোল খাওয়া থেকে রুখতে পারেননি। ৭৩ মিনিটে এমারসনের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়নি। এই অর্ধের শেষ দিকে এসে ইংল্যান্ড পাল্টা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সফল হতে পারেনি। অধিনায়ক হ্যারি কেইন ছিলেন অনেকটাই নিজের ছায়া হয়ে। রহিম স্টার্লিং একাধিকবার বক্সে ঢুকে কিছু একটা করার চেষ্টা করেছেন। তবে তাকে হতাশ করেছেন ইতালির ডিফেন্ডাররা।
খেলার নির্ধারিত সময় ছিল ১-১ ড্র। এরপর যোগ করা হয় আরো ৩০ মিনিট। সেখানেও গোল করতে ব্যর্থ হন দুই দলের ফুটবলাররা। যার ফলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারেই হয় শিরোপার নিষ্পত্তি। ইংল্যান্ডের সমস্ত স্বপ্ন চূর্ণ হয় টাইব্রেকার নামক লটারিতে। যেখানে ইংলিশ ফুটবলাররা একের পর এক মিস করেছেন।
টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হন - ইতালির গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোনারুমা।