Studypress News
করোনাকালে রিজার্ভে নয়া রেকর্ড
21 Jun 2021
করোনাভাইরাস মহামারিকালেও বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েই চলেছে। হচ্ছে একের পর এক রেকর্ড। বর্তমানে রিজার্ভ ৪৫.৪৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা এযাবত কালের মধ্যে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ গত ১৭ই জুন কর্মদিবস শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৪৫.৪৬ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৪ হাজার ৫৪৬ কোটি ডলার), যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে) ৩ লাখ ৮৬ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ- এই ৯টি দেশ বর্তমানে আকুর সদস্য। এই দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ যেসব পণ্য আমদানি করে তার বিল দুই মাস পরপর আকুর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুত থাকতে হয়। সেই হিসাবে প্রতিমাসে ৪ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় ধরলে বাংলাদেশের এই বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে ১১ মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
মহামারির বছরেই (২০২০) দেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন ৪৩ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে। সে বছরের ২৯শে ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৩.১৭ বিলিয়ন ডলারে। এদিকে চলতি অর্থবছরের ১৭ই জুন পর্যন্ত রিজার্ভ ৯.৪২ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের শুরুতে (৩০শে জুন পর্যন্ত) ৩৬.০৩ বিলিয়ন ডলার ছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ৩রা মে দেশের রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৪৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। ওইদিন রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়ায় ৪৫.১০ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে চলতি বছরের গত ২৪শে ফেব্রুয়ারি রিজার্ভ ৪৪.০২ বিলিয়ন বা চার হাজার ৪০২ কোটি ডলার অতিক্রম করেছিল। তার আগে ৩০শে ডিসেম্বর রিজার্ভ ৪৩ বিলিয়ন ডলার, ১৫ই ডিসেম্বর ৪২ মিলিয়ন ডলার এবং ২৮শে অক্টোবর ৪১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল।
২০২০ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের রিজার্ভ প্রথম ৪০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে। তারপর থেকে রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়ে সে বছরের ডিসেম্বরেই রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রথম বার্ষিক রিপোর্টে (১৯৭১-১৯৭৩) বলা হয়, স্বাধীনতা প্রাপ্তির পরপর বাংলাদেশের কোনো বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয় ছিল না। কিন্তু ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ আস্তে আস্তে তার বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয় করে নিয়েছে। ১৯৭২ সালের ৩০শে জুন রিজার্ভ ছিল ১১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তার পরের বছরের ২৯শে জুনে স্বাধীন দেশের রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়ায় ১২৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।