Studypress News

সিনোভ্যাকের টিকা অনুমোদন পেল বাংলাদেশে

08 Jun 2021

সিনোভ্যাকের দেশীয় এজেন্ট হিসেবে বাংলাদেশের ইনসেপ্টা ভ্যাক্সিন ‘করোনা ভ্যাক’ নামের এ টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন চেয়েছিল। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সেই অনুমোদন দেওয়ার কথা জানিয়েছে।

এ নিয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মোট পাঁচটি টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিল বাংলাদেশ সরকার।

এর আগে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড, রাশিয়ার তৈরি স্পুৎনিক-ভি, চীনের সিনোফার্মের তৈরি টিকার বিবিআইবিপি-সিওরভি (BBIBP-CorV) এবং যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেকের তৈরি করা করোনাভাইরাসের টিকা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সবুজ সংকেত পায়।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর জানিয়েছে, ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের সিনোভ্যাকের টিকা দেওয়া যাবে। ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এ টিকা সংরক্ষণ করতে হবে।

বাংলাদেশে অনুমোদন পাওয়া আগের টিকাগুলোর মতই ‘করোনা ভ্যাক’ নিতে হবে দুই ডোজ করে। প্রথম ডোজ নেওয়ার ২ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে।

চীনের ন্যাশনাল মেডিকেল প্রোডাক্টস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এনএমপিএ গত ৯ ফেব্রুয়ারি সেদেশে করোনা ভ্যাক ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। গত ১ জুন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি ব্যবহার্য টিকার তালিকায় যুক্ত হয় সিনোভ্যাকের এই টিকা।


বর্তমানে বিশ্বের ২২টি দেশ সিনোভ্যাকের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন রয়েছে।

সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে কেনা কোভিশিল্ড দিয়ে গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে দেশে গণটিকাদান শুরু করেছিল সরকার। কিন্তু ভারত টিকা রপ্তানি বন্ধ রাখায় অন্য উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের তোড়জোড় শুরু হয়।

এর অংশ হিসেবে গত এপ্রিলের শেষ দিক থেকে দেড় মাসের মধ্যে চারটি টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেল।

চীন সরকারের কাছ থেকে উপহার হিসেবে সিনোফার্মের কিছু টিকা পাওয়ার পর বাংলাদেশে তা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। রাশিয়ার কাছ থেকে স্পুৎনিক-ভি কেনার জন্য সরকারি পর্যায়ে আলোচনা চলছে। আর ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা বাংলাদেশ পেয়েছে টিকার আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকে।