Studypress News

বীর মুক্তিযো’দ্ধার মৃ’ত্যুতে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান প্রদর্শনের নতুন আদেশ

16 Nov 2020

বীর মুক্তিযো’দ্ধার মৃ’ত্যুতে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান প্রদর্শনের নতুন আদেশ জারি করেছে সরকার। গত ১০ নভেম্বর মুক্তিযু’দ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ‘বীর মুক্তিযো’দ্ধার মৃ’ত্যুতে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান প্রদর্শন আদেশ, ২০২০’ জারি করা হয়েছে। ২০০৫ সালের এ-সংক্রান্ত আদেশটি বাতিল করা হয়েছে।

নতুন আদেশে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান প্রদর্শনের জন্য মুক্তিযু’দ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রমাণকের যে কোনো একটিতে নাম থাকতে হবে। প্রমাণকগুলোর মধ্যে রয়েছে- মুক্তিযো’দ্ধাদের ভারতীয় তালিকা, মুক্তিযো’দ্ধাদের ভারতীয় তালিকা (পদ্মা), মুক্তিযো’দ্ধাদের ভারতীয় তালিকা (মেঘনা), মুক্তিযো’দ্ধাদের ভারতীয় তালিকা (সেক্টর) এবং মুক্তিযো’দ্ধাদের ভারতীয় তালিকা (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী)। লাল মুক্তিবার্তার মধ্যে রয়েছে- লাল মুক্তিবার্তা (চূড়ান্ত লাল বই), লাল মুক্তিবার্তা স্মরণীয় যারা বরণীয় যারা।


 
গেজেটের মধ্যে রয়েছে- যু’দ্ধাহত মুক্তিযো’দ্ধাদের তালিকা, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযো’দ্ধাদের তালিকা, বেসামরিক গেজেট, প্রবাসে বিশ্বজনমত গেজেট, ধারণাগত জ্যেষ্ঠতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তালিকা, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) গেজেট, শব্দসৈনিক- স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কলাকুশলীদের তালিকা, মুক্তিযো’দ্ধাদের (বীরাঙ্গনা) তালিকা, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়দের তালিকা, ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি ছাত্র ইউনিয়ন, বিশেষ গেরিলা বাহিনী ও মুক্তিযো’দ্ধাদের তালিকা, বিশ্রামগঞ্জ হাসপাতালে নিয়োজিত বা দায়িত্ব পালনকারী মুক্তিযো’দ্ধা গেজেট, সরকারের মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রীদের তালিকা এবং মুজিবনগর কর্মচারী তালিকা এবং জাতীয় মুক্তিযো’দ্ধা কাউন্সিলের সুপারিশক্রমে মন্ত্রণালয়ের জারি করা অন্য কোন নামীয় তালিকা সংক্রান্ত গেজেট।

বাহিনী গেজেটের মধ্যে রয়েছে- যু’দ্ধাহত সেনা মুক্তিযো’দ্ধাদের নামের তালিকা, যু’দ্ধাহত পঙ্গু মুক্তিযো’দ্ধাদের নামের তালিকা (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ), যু’দ্ধাহত মুক্তিযো’দ্ধাদের নামের তালিকা (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) গেজেট, সেনা মুক্তিযো’দ্ধাদের নামীয় তালিকা, বিমান বাহিনীর মুক্তিযো’দ্ধা তালিকা, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মুক্তিযো’দ্ধাদের তালিকা, নৌকমান্ডোদের তালিকা, বাংলাদেশ রাইফেলসের (সাবেক বিডিআর এবং বর্তমান বিজিবি) মুক্তিযো’দ্ধাদের নামীয় তালিকা, পুলিশ বাহিনীর মুক্তিযো’দ্ধাদের তালিকা, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুক্তিযো’দ্ধাদের তালিকা।


 
আদেশে বলা হয়েছে, কোনো বীর মুক্তিযো’দ্ধার মৃ’ত্যু হলে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানাতে হবে। ঢাকায় অবস্থানরত খেতাবপ্রাপ্ত বা যু’দ্ধাহত কোনো বীর মুক্তিযো’দ্ধার মৃ’ত্যু হলে বাংলাদেশ মুক্তিযো’দ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করবেন। বীর মুক্তিযো’দ্ধার মৃ’ত্যুর বিষয়ে মুক্তিযো’দ্ধা সংসদ, আত্মীয়-স্বজন বা কোনো নাগরিক প্রশাসনকে অবহিত করতে পারবেন। এমনকি সংবাদমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মৃ’ত্যুর খবর প্রকাশিত হলেও যাচাই করে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।

মহানগর ও জেলা সদরে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা পর্যায়ে হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বীর মুক্তিযো’দ্ধাকে সম্মান প্রদর্শনের জন্য সরকারের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করবেন। রাষ্ট্রীয় বা জনগুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত থাকলে জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরকারের প্রতিনিধিত্ব করবেন।


 
রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান প্রদর্শনের নিয়মের বিষয়ে আদেশে বলা হয়েছে, মৃ’ত বীর মুক্তিযো’দ্ধার কফিন জাতীয় পতাকা দ্বারা আবৃত করতে হবে। তবে সৎকার বা সমাধিস্থ করার আগে জাতীয় পতাকা খুলে ফেলতে হবে। সরকারের অনুমোদিত প্রতিনিধি কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। অনুমোদিত সংখ্যক পুলিশ বাহিনীর সশ’স্ত্র সদস্যদের দিয়ে সশ’স্ত্র সালাম প্রদান করতে হবে এবং বিউগলে করুণ সুর বাজাতে হবে। সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গার্ড অব অনার পরিচালনা করবেন। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাষ্ট্রীয় বা জনগুরুত্বপূর্ণ কাজের কারণে থাকতে না পারলে থানার পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। সশ’স্ত্রবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযো’দ্ধাদের ক্ষেত্রে বাহিনীর নিজস্ব রীতি অনুসরণ করতে হবে।

আদেশ আরও বলা হয়েছে, বীর মুক্তিযো’দ্ধার অন্তিম ইচ্ছা অনুযায়ী এবং ধর্মীয় নীতি অনুযায়ী সৎকার বা সমাধিস্থ করতে হবে। অ’সচ্ছল মুক্তিযো’দ্ধাদের জন্য মুক্তিযু’দ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে অনুদান দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।