Studypress News

আমেরিকার নির্বাচনের কিছু শব্দ বা টার্ম

04 Nov 2020

বেলওয়েদার স্টেট : ওহাইও এবং মিজৌরির মতো কিছু রাজ্যকে বেলওয়েদার স্টেট বলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দেখা গেছে এসব রাজ্যে ভোটাররা যে প্রার্থীকে বেশি ভোট দিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত তিনিই জাতীয়ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
এক্সিট পোল বা বুথফেরত সমীক্ষা : ভোটাররা যখন ভোট দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে আসেন তখন তাদের সাক্ষাৎকার নিয়ে এই সমীক্ষা পরিচালিত হয়। অল্প কিছু সংখ্যক ভোটারের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। ফলে এই এক্সিট পোলের ফলাফলও চূড়ান্ত ফলাফল থেকে ভিন্ন হতে পারে।
ইলেকটোরাল কলেজ : প্রত্যেকটি রাজ্যের ভোটের সংখ্যা ভিন্ন। এই ভোটকে বলা হয় নির্বাচক বা ইলেকটর। রাজ্যের জনসংখ্যার অনুপাতে ওই ইলেকটরের সংখ্যা নির্ধারিত হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যেটা হয়, যে প্রার্থী একটি রাজ্যে জয়ী হন, তিনি ওই রাজ্যের সবগুলো ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে যান। এই ইলেকটররা পরে একত্রিত হয়ে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন। ইলেকটোরাল কলেজে (নির্বাচকমণ্ডলী) মোট ভোটের সংখ্যা ৫৩৮ এবং নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্ট হতে হলে একজন প্রার্থীকে ২৭০টি ভোট পেতে হবে। 
প্রজেকশন (ধারণা) বনাম কলিং (চূড়ান্ত) : নির্বাচনের রাতে ব্যালট গণনা থেকে ধারণা বা প্রজেক্ট করা হয় প্রত্যেক রাজ্যে ও জাতীয়ভাবে কোন প্রার্থী বিজয়ী হতে চলেছেন। যথেষ্ট তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত কোনো একটি রাজ্যে কে বিজয়ী হয়েছেন সেটা ঘোষণা করা হয় না। এসব তথ্যে মধ্যে রয়েছে আগাম ভোট, এক্সিট পোল এবং নির্বাচনের দিন যেসব ভোট গণনা করা হয় সেগুলো। 
সুইং স্টেট বা ব্যাটেলগ্রাউন্ড রাজ্য : যেসব রাজ্যে কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী বেশি ভোট পাবেন তা স্পষ্ট নয় সেগুলোকে বলা হয় সুইং স্টেট বা ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেট। এর অর্থ হচ্ছে তারা ডেমোক্র্যাট বা রিপাবলিকান যে কোন প্রার্থীকেই বেছে নিতে পারেন।
লাল রাজ্য বনাম নীল রাজ্য : এসব রাজ্যে পরিষ্কার যে তারা বিশেষ কোনো একটি দলের প্রার্থীর পক্ষে ভোট দিচ্ছে। রিপাবলিকান দলের সমর্থন বেশি যেসব রাজ্যে সেগুলো লাল এবং ডেমোক্র্যাট দলের প্রাধান্য যেখানে সেসব নীল।