Studypress News
আর্মেনিয়া-আজারবাইজানকে শান্তি আলোচনা আয়োজনের প্রস্তাব রাশিয়ার
01 Oct 2020
বিতর্কিত নাগারনো কারাবাখ অঞ্চলে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে লড়াই বন্ধে শান্তি আলোচনা আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। ০১ অক্টোবর ২০২০ বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ দুই দেশের সরকারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। এই ফোনালাপে তিনি প্রস্তাবটি দেন। এ ছাড়া তিনি যুদ্ধাবস্থা বন্ধেরও আহ্বান জানান।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ থেকে বিতর্কিত অঞ্চলটিতে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত শতাধিক মানুষের প্রাণহানির তথ্য পাওয়া গেছে। নাগারনো কারাবাখ অঞ্চলে গত কয়েক বছরের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় লড়াইয়ের ঘটনা।
আর্মেনিয়ার সঙ্গে সামরিক জোটে রয়েছে রাশিয়া। দেশটিতে রাশিয়ার একটি সামরিক ঘাঁটিও রয়েছে। অন্যদিকে, আজারবাইজান সরকারের সঙ্গেও রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
এদিকে, অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। এই যুদ্ধের বিষয়ে ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। বৈঠকে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। তার আগে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ দুই পক্ষকে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানান।
পার্বত্য অঞ্চল নাগোরনো কারাবাখ সোভিয়েত আমলে আজারবাইজানের অংশ ছিল। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে এক যুদ্ধে আর্মেনিয়ার সহায়তায় জাতিগত আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা অঞ্চলটি দখল করে নেয়।
নাগোরনো কারাবাখ নিয়ে অনেক বছর ধরেই বৈরী সম্পর্ক আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে। সেই উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। দুই দেশের সীমান্তে গত রোববার ইয়েরেভান ও আজেরি বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ-গোলাগুলির পর পরিস্থিতি যুদ্ধাবস্থায় উপনীত হয়।
সবশেষ সংঘর্ষ ও উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার জন্য দুই দেশে একে অপরকে দায়ী করেছে। আর্মেনিয়া বলেছে, প্রথমে আজেরি বাহিনী নাগোরনো কারাবাখ অঞ্চলে তাদের বাহিনী লক্ষ্য করে গোলা ছুড়েছে। আর আজারবাইজানের অভিযোগ, আর্মেনিয়ার বাহিনীই প্রথম আজেরি সেনা ও দেশটির বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করেছে।
সংঘর্ষে দুই পক্ষে প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো সুস্পষ্ট নয়। তবে আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, আজেরি সেনাদের হামলায় অজ্ঞাতসংখ্যক বেসামরিক লোক প্রাণ হারিয়েছেন।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর মূলত জাতিগত আর্মেনীয় অঞ্চল নাগোরনো কারাবাখ স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়। এরপর থেকেই একে নিয়ে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। পরে ১৯৯৪ সালে যুদ্ধবিরতিতে উপনীত হলেও নাগোরনো কারাবাখ ও সীমান্তবর্তী এলাকায় অব্যাহতভাবে হামলার অভিযোগ করে আসছে দুই দেশ।