Studypress News
অধিমূল্য বা প্রিমিয়াম শেয়ার বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে
08 Dec 2015
অধিমূল্য বা প্রিমিয়াম নিয়ে কোনো কোম্পানি শেয়ারবাজারে আসতে চাইলে সেই কোম্পানিকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বাজারে আসতে হবে।
আর মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর বিনিয়োগ পত্রকোষও মাসিক ভিত্তিতে নিয়মিত প্রকাশ করতে হবে।
কোম্পানির তালিকাভুক্তি ও মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে এমন বিধান সংযোজন করার উদ্যোগ নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ জন্য পাবলিক ইস্যু রুলস ও মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। আইনি সংশোধনীর একটি খসড়াও চূড়ান্ত করা হয়েছে।
বিএসইসি ৭/১২/২০১৫ তারিখ সোমবার এ খসড়া অনুমোদন করে। এখন জনমত জরিপ শেষে প্রয়োজনীয় সংযোজন, বিয়োজন করে সংশোধনী বিধানগুলো আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
বিএসইসি পাবলিক ইস্যু রুলস সংশোধনীর যে খসড়া অনুমোদন করেছে তাতে বলা হয়েছে, কোনো কোম্পানি শেয়ারের অধিমূল্য দাবি করলে ওই সেটির জন্য বুক বিল্ডিং পদ্ধতি অনুসরণ বাধ্যতামূলক। তাতেও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণে ওই কোম্পানির শেয়ারের অধিমূল্য নির্ধারিত হবে। এর বাইরে যেসব কোম্পানি অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালুতে শেয়ার ছাড়বে সেসব কোম্পানি স্থির মূল্য পদ্ধতিতে বাজারে আসতে পারবে।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে অংশগ্রহণকারী প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর পরিধিও বাড়ানো হয়েছে। বিকল্প বিনিয়োগ তহবিল ব্যবস্থাপক বা অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ম্যানেজার, বিকল্প বিনিয়োগ তহবিল, স্বীকৃত পেনশন ও প্রভিডেন্ট তহবিলকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী হিসেবে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারের দরপ্রস্তাবে অংশগ্রহণের জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কোম্পানি রোড শো সম্পন্ন হওয়ার পরপর কোম্পানির বিবরণীপত্র বা প্রসপেক্টাস সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়েছে খসড়া সংশোধনীতে। তবে এ ক্ষেত্রে কোম্পানি কত শেয়ার বিক্রি করবে বা কী দামে বিক্রি করবে তা উল্লেখ করা যাবে না।