Studypress News
জলবায়ু পরিবর্তন: পানির অভাবে পড়বেন প্রায় ২০০ কোটি মানুষ
07 Dec 2015
কার্বন ডাই অক্সাইড, গ্রিনহাউস গ্যাস, কার্বন নির্গমন – জলবায়ু পরিবর্তনে এই সব শব্দ ঘুরেফিরেই আসে৷ কয়লা, পেট্রোলিয়াম ও গ্যাস। জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানির সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন, ঘরবাড়ি গরম রাখা, পরিবহণ ব্যবস্থা চালানো এবং শিল্পক্ষেত্রে উৎপাদনের ফলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড সৃষ্টি হয় এবং বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ে। গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রায় ৬৫ শতাংশই কার্বন-ডাই-অক্সাইড। এছাড়া মিথেন, লাফিং গ্যাস ও ক্লোরোফ্লুরোকার্বনও এর জন্য দায়ী। ১৮৫০ সালে শিল্প-বিপ্লবের শুরু। এরপর থেকে বিশ্বের তাপমাত্রা বেড়ে গেছে এক ডিগ্রি সেলসিয়াস। গবেষকদের আশঙ্কা, ২১০০ সালের মধ্যে তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি কমানোর লক্ষ্যমাত্রা সফল হবে না৷ তারা বলছেন বড়জোর দেড় ডিগ্রির সীমা ধরে রাখার চেষ্টা করা উচিত। পৃথিবীর তাপমাত্রা আরও বেশি মাত্রায় বাড়লে উপকূলবর্তী এলাকায় প্রায় ৩০ লাখ মানুষ বিপদে পড়বেন। পানির অভাবে পড়বেন প্রায় ২০০ কোটি মানুষ। বিলুপ্ত হতে পারে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ প্রজাতির প্রাণী। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্র বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখায়। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের গ্রিনহাউস গ্যাস কার্বন-ডাই-অক্সাইড সমুদ্রের পানির মধ্যে রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এই প্রক্রিয়ায় জলের ‘পিএইচ ভ্যালু’ কমে যায়। অ্যালজির মতো ক্ষুদ্র প্রাণী ও প্রবাল প্রাচীরের উপর তার প্রভাব পড়ে। জলে অ্যাসিডের মাত্রা যত বাড়ে, ক্যালশিয়াম বাইকার্বোনেট তত পাতলা হয়ে যায়। ফলে প্রবালের মৃত্যু হয়। আর এতে করে সমুদ্রের গোটা ইকোসিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সার্বিয়া, আফগানিস্তান এবং বসনিয়া-হার্জেগোভিনা ২০১৫ সালে আবহাওয়া বিপর্যয়ের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।