Studypress News
ডেইলি স্টার এডিটোরিয়াল অনুবাদঃ২২/০৭/২০২০
22 Jul 2020
Investing in renewables is the way of the future
নবায়নযোগ্যশক্তিতে বিনিয়োগইভবিষ্যতের পথ
They are cheaper and environment-friendly
এগুলি সস্তা এবং পরিবেশ বান্ধব
Reforms desired in Bangladesh's energy sector have long been trapped in a policy dragnet that encouraged expansion of coal-based power generation while refusing to adopt cheaper, eco-friendly renewable energy on a scale that is necessary. With our fast-depleting gas reserves and the well-documented damaging effects of coal-based plants that far outweigh their benefits, a shift in existing policy is thus urgent. Experts have often noted how the policy continues to favour quick fixes over long-term reforms in line with questions of sustainability, future uncertainty about the availability of coal, its large carbon footprint and the global shift to renewable sources. At a webinar on Monday, speakers from Bangladesh and India also highlighted this issue. They specifically pointed to the Rampal power station in Bangladesh and the Adani-Godda power plant in Jharkhand, India, which they said threaten to destroy the environment as well as people's lives and livelihoods.
বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে কাঙ্ক্ষিত সংস্কারগুলি দীর্ঘদিন ধরে এমন একটি নীতিনির্ধারণী জালে আটকা পড়েছে যা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত্ উত্পাদনকে প্রসারিত করতে উত্সাহিত করেছিল এবং প্রয়োজনীয় পর্যায়ে সস্তা, পরিবেশ বান্ধব পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। আমাদের দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া গ্যাসের মজুদ এবং কয়লাভিত্তিক প্ল্যান্টগুলোর কাগজে কলমে সুনির্দিষ্ট ক্ষতিকারক প্রভাবগুলি যা তাদের হতে প্রাপ্ত সুবিধা হতে বেশি , তাই বিদ্যমান নীতিমালায় এই খানে পরিবর্তন জরুরি। বিশেষজ্ঞরা প্রায়শই উল্লেখ করেছেন যে কিভাবে স্থায়িত্ব, বিশাল কার্বন নিঃসরণের পদচিহ্ন এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে নবায়ন যোগ্য জ্বালানির দিকে সরে যাওয়াকে নজর না দিয়ে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান এর বদলে স্বল্প মেয়াদি সমাধান বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে । সোমবার একটি ওয়েবিনারে বাংলাদেশ ও ভারতের বক্তারাও এই বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন। তারা বিশেষ করে বাংলাদেশের রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং ভারতের ঝাড়খণ্ডের আদানি-গোড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দিকে ইঙ্গিত করেছিল যা তারা বলেছিল এর কারণে পরিবেশের পাশাপাশি মানুষের জীবন ও জীবিকা নষ্ট হবার হুমকিতে রয়েছে।
While China and India, the largest users of coal, are gradually winding down their dependence on it and shifting to renewable and nuclear energy, their continued mining as well as exporting of coal-related technology to countries like Bangladesh suggest their lack of concern for the wider ramifications of such a position. But the future lies in renewables, and so countries that are still heavily dependent on coal should seriously reconsider their policy. According to a recent report of the Carbon Tracker Initiative, a nonprofit research organisation, it is already cheaper to run new renewables than new coal plants in all major markets including the USA, China, India, etc. By 2030, it will be cheaper to build new renewables than to run existing coal plants everywhere. From an environmental perspective, any shift to renewables will remain incomplete unless everyone participates. Clearly, the enthusiasm for the long-term benefits that investment in renewable energy offers is not yet shared equally by everyone but the global crises of Covid-19 and climate change are proof that we, all of us, need to act fast. The business-as-usual approach is not going to work in this changing world.
চীন ও ভারত, কয়লার বৃহত্তম ব্যবহারকারীরা ধীরে ধীরে এর উপর নির্ভরতা হ্রাস করছে এবং পুননবায়ণযোগ্য ও পারমাণবিক শক্তিতে স্থানান্তরিত করছে, তাদের অব্যাহত খনি হতে কয়লা উত্তোলনের পাশাপাশি বাংলাদেশের মতো দেশগুলিতে কয়লা-সম্পর্কিত প্রযুক্তি রফতানি তাদের এই ধরনের প্রযুক্তির বিস্তারের প্রতি অনীহার দিকটিই তুলে ধরে । তবে ভবিষ্যত নবায়নযোগ্য শক্তির মধ্যে নিহিত রয়েছে, সুতরাং যে দেশগুলি এখনও কয়লার উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল তাদের নীতিটি গুরুত্বের সাথে পুনর্বিবেচনা করা উচিত। অলাভজনক গবেষণা সংস্থা কার্বন ট্র্যাকার ইনিশিয়েটিভের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত প্রভৃতি সমস্ত বড় বাজারে নতুন কয়লা প্ল্যান্ট এর তুলনায় নতুন নবায়ণযোগ্য প্ল্যান্টগুলি চালানো সস্তা হবে।
২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যমান কয়লা প্লান্ট সর্বত্র চালানোর চেয়ে নতুন পুনর্নবীকরণগুলি তৈরি সস্তা হবে। পরিবেশগত দৃষ্টিকোণ থেকে, নবায়নযোগ্য জ্বালানি তে সরে যাওয়া অসম্পূর্ণ থাকবে যতক্ষণ প্রত্যেকেই অংশ না নেয়। স্পষ্টতই, নবায়ণযোগ্য জ্বালানীর প্রস্তাবগুলিতে বিনিয়োগের দীর্ঘমেয়াদী সুবিধার জন্য এর প্রতি এখনও সবার সমানভাবে উৎসতসাহ ছড়িয়ে পরেনি তবে কোভিড -১৯ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশ্বিক সংকটগুলি প্রমাণ করে যে আমরা, আমাদের সকলকে দ্রুত কাজ করা দরকার। ব্যবসার স্বাভাবিক পন্থা এই পরিবর্তিত বিশ্বে কাজ করে না।
It is also important for the energy planners of Bangladesh to consider the uncertainties surrounding imported coal. Experts point out to reports of divestment of coal shares by some banks and pension funds as well as withdrawal of insurance, making coal mining and coal-fired power generation businesses unsustainable. Therefore, it is high time the authorities revisit their energy policy, phase out coal-based power plants and embrace renewable energy, which will not only be beneficial for our environment but also create thousands of jobs, especially in the rural sectors.
বাংলাদেশের জ্বালানি পরিকল্পনাকারীদের আমদানি করা কয়লার আশেপাশের অনিশ্চয়তার বিষয়টি বিবেচনা করাও গুরুত্বপূর্ণ। অতএব, কর্তৃপক্ষ তাদের জ্বালানী নীতিটি পুনর্বিবেচনা করবে, কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলি পুনর্বার চিন্তা করবে এবং নবায়ণযোগ্য শক্তি গ্রহণ করবে, যা কেবল আমাদের পরিবেশের জন্যই উপকারী হবে না, বিশেষত গ্রামীণ খাতগুলিতেও হাজার হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।