Studypress News
দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে
10 Mar 2020

দেশের প্রথম প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে মুজিববর্ষে। ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মহাসড়কটিতে থাকছে ছোট যানবাহনের জন্য দুই দিকে আলাদা লেন। তবে পদ্মা সেতু চালু হলে যানবাহনের চাপ বাড়বে—এ কারণে প্রথম বুড়িগঙ্গা সেতু সম্প্রসারণের জন্য নেওয়া হচ্ছে আলাদা প্রকল্প।
ঢাকার জুরাইন থেকে মাওয়া এবং শরীয়তপুরের পাচ্চর থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত এই মহাসড়ক খুলে দেওয়া হবে। এটি এশীয় মহাসড়কের অংশ (করিডর-১-এর)। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর এই মহাসড়ক দিয়ে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে মাত্র ৪২ মিনিটে পৌঁছানো যাবে ফরিদপুরের ভাঙ্গায়। তবে মহাসড়ক ব্যবহারের জন্য টোল দিতে হবে চলাচলকারী গাড়িগুলোকে। ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা চার লেন মহাসড়ক যাত্রাবাড়ী থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার, পাঁচ্চর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার। তাতে থাকবে ২৯টি ছোট ও মাঝারি সেতু, ৫৪টি কালভার্ট, চারটি রেলওয়ে ওভার পাস, পাঁচটি ফ্লাইওভার, ২০টি আন্ডারপাস বা পাতালপথ, দুটি ইন্টারচেঞ্জ ও দুটি টোল প্লাজা।
ঢাকা-খুলনা জাতীয় মহাসড়কের ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের দুই দিকে সার্ভিস লেনসহ মহাসড়কটি হবে ৪১.২০ মিটার প্রশস্ত। তার মধ্যে প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত চার লেনের প্রশস্ততা ১৪.৬০ মিটার। মহাসড়কে বিভাজক রাখা হচ্ছে পাঁচ মিটার। মূল সড়ক থেকে বের হওয়ার জন্য রাখা হয়েছে দুই দিকে তিন মিটার এবং সার্ভিস রোড দুই দিকে ১১ মিটার। অন্যান্য শোল্ডার, বেরিয়ারও আছে মহাসড়কে। মহাসড়কে রেলপথের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে ৩৬.৫০ মিটার চওড়া ওভার পাস। তবে মহাসড়ক থেকে রাজধানীতে প্রবেশপথের অংশ প্রথম বুড়িগঙ্গা সেতুপথ মাত্র ১৭.৬০ মিটার।
রাজধানীর যানজট নিরসন করতে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলছে। প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ হাজার ২০০ কোটি টাকা। প্রকল্পের বিমানবন্দর থেকে বনানীমুখী অংশ দৃশ্যমান হচ্ছে। ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিতে (পিপিপি) বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সেতু বিভাগ। ঢাকার বিমানবন্দর সড়ক থেকে গাজীপুরের চন্দ্রা পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে এটি।
Important News

Highlight of the week
