Studypress News
ভাসমান রেস্তোরাঁ হচ্ছে পিএস অস্ট্রিচ
26 Oct 2018
নৌ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবদুল মান্নান বলেন, পিএস অস্ট্রিচ ইজারা দেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নীতিগত সম্মতি জানানো হয়েছে। তবে কাকে, কী পদ্ধতিতে, কী শর্তে ইজারা দেওয়া হবে তা ঠিক করবে সংস্থার পরিচালনা পর্ষদ।
বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মফিজুল হক বলেন, অস্ট্রিচ ইজারা দেওয়ার এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। কেন ইজারার উদ্যোগ নেওয়া হলো বা কোন পদ্ধতিতে ইজারা দেওয়া হবে তা জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
সংশ্নিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অ্যাকর্ড লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান পি এস অস্ট্রিচ ভাসমান রেস্তোরাঁ হিসেবে ইজারা নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে। তাদের আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতেই জাহাজটি প্রাথমিকভাবে পাঁচ বছরের জন্য ইজারা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে কোন পদ্ধতিতে এ ইজারা দেওয়া হবে এবং ইজারা বাবদ সরকার কী পরিমাণ অর্থ পাবে তা স্পষ্ট হয়নি। এ বিষয়ে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিআইডব্লিউটিসির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। তবে অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহনের দায়িত্বে থাকা সংস্থাটির পক্ষ থেকে এখনও কোনো জবাব দেওয়া হয়নি।
সংশ্নিষ্টরা জানিয়েছেন, ১৯২৯ সালে কলকাতার গার্ডেন রিচ ওয়ার্কশপে তৈরি হয়েছিল পি এস অস্ট্রিচ। তারপর থেকে কিছু ছোটখাটো বিরতি ছাড়া নিরবচ্ছিন্নভাবে চলাচল করে আসছে এ প্যাডেল স্টিমার। এই স্টিমার চলে দু'পাশের বড় প্যাডেলের মাধ্যমে। বড় ধরনের ডিজেল ইঞ্জিন দিয়ে দুই পাশের বিশাল প্যাডেল ঘোরানো হয়। এক সময় ঢাকা থেকে খুলনা পর্যন্ত যেত এই স্টিমার।
তবে বাগেরহাটের রামপাল চ্যানেলের নাব্য কমে যাওয়ায় সর্বশেষ মোরেলগঞ্জ পর্যন্ত চলাচল করেছে। যাত্রীদের জন্য ডেক, কেবিন সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে এই জলযানে।
সংশ্নিষ্টদের কয়েকজন বলেন, পিএস মাহসুদ, পিএস অস্ট্রিচ, পিএস লেপচা ও পিএস টার্ন নামের প্যাডেল জাহাজগুলো ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা রয়েছে। কম খরচে এসব জাহাজ পরিচালনা সম্ভব হলেও যথাযথ উদ্যোগের ঘাটতির ফলে আকর্ষণীয় এই জলযানগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।