Studypress News

ক্রিকেটে পরিবর্তন এবং নতুন নিয়মে ২০২৩ ক্রিকেট

22 Oct 2018

ক্রিকেট আর বৃষ্টি যেন মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। বৃষ্টির কারণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়া কিংবা ওভার কমে আসার নজির অহরহ হয়ে থাকে। বৃষ্টি বাগড়া দিলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খেলা শুরু করতে না পারলে শেষমেশ ম্যাচ অফিসিয়ালরা ডার্কওয়ার্থ লুইস পদ্ধতির সহায়তা নেন। যেটাকে বৃষ্টি আইনও বলা হয়। ক্রিকেটের এই আইনে এবার এলো বড়সড় পরিবর্তন। এ ছাড়া বল টেম্পারিংয়ের ক্ষেত্রেও নতুন নিয়ম চালু করেছে আইসিসি। গত রোববার দক্ষিণ আফ্রিকা-জিম্বাবুয়ে ম্যাচ থেকে কার্যকর করা হয় নতুন দুটি নিয়ম। এতদিন ডার্কওয়ার্থ পদ্ধতিতে বল বাই বল বিশ্নেষেণ করা হতো। সঙ্গে পাওয়ার প্লে-তেও। কিন্তু নতুন নিয়ম অনুযায়ী শেষ ২০ ওভারের রানরেটকে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যেটা কেবল ওয়ানেডের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ফলে এখন থেকে ইনিংসের শেষ দিকে যে দল রান বেশি জমা করতে পারবে তারাই বাড়তি সুবিধা পাবে। নারী-পুরুষ উভয় ক্রিকেটে এই নিয়ম বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এদিকে বল টেম্পারিংয়ে আরও কঠোর হয়েছে আইসিসি। আগের মতো মাঠে কোনো খেলোয়াড় বল টেম্পারিং করলে লেভেল টু অপরাধে গণ্য হবে না। এখন থেকে এই অপরাধকে একধাপ উপরে আনা হয়েছে। অর্থাৎ মাঠে একজন খেলোয়াড় বল টেম্পারিং করলে আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী তিনি লেভেল 'থ্রি' অপরাধের কাতারে পড়ে যাবেন। সেক্ষেত্রে তিনি ১২টি ডিমেরিট পয়েন্ট পাবেন। টেম্পারিং অপরাধের শাস্তি টেস্টের ক্ষেত্রে ছয় টেস্ট নিষিদ্ধ। আর ওয়ানডেতে টেম্পারিং করলে ১২ ওয়ানডে ম্যাচে নিষিদ্ধ থাকবেন সেই খেলোয়াড়। পাশাপাশি কোড অব কন্ডাক্টে এসেছে বড় পরিবর্তন। এখন থেকে লেভেল 'থ্রি' অপরাধের জন্য আট থেকে সাসপেনশন পয়েন্ট বাড়িয়ে ১২ করা হয়েছে। লেভেল ১, ২ ও ৩ এর শাস্তি ম্যাচ রেফারি দিতে পারবেন। লেভেল ৪ অপরাধের শুনানি জুডিশিয়াল কমিশনে হবে। এর আগে দু'বার পরিবর্তন হয়েছিল ডার্কওয়ার্থ লুইস পদ্ধতি। সর্বশেষ ২০১৪ সালে এই মেথডে কিছুটা রদবদল করে আইসিসি। অন্য দিকে ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের মতো ২০২৩ বিশ্বকাপেও খেলবে ১০টি দল। তবে দলের সংখ্যা না বাড়লেও ক্রিকেটের বিশ্বায়নের স্বার্থে বিশ্বকাপের দল বাছাই প্রক্রিয়ায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে আইসিসি।

২০২৩ বিশ্বকাপের ১০টি দল বেছে নেয়া হবে নতুন এক পদ্ধতিতে। এতদিন র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষ আট দলের সঙ্গে বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা দুটি দল সুযোগ পেত বিশ্বকাপে। কিন্তু নতুন নিয়মে র‌্যাংকিংয়ের সরাসরি কোনো ভূমিকা থাকবে না।

তিন ধাপে ছয়টি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মোট ৩২ দল থেকে বেছে নেয়া হবে ১০টি দল। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের মে মাস পর্যন্ত চলছে ৩৭২ ম্যাচের এই ম্যারাথন বাছাইপর্ব। ৩২ দলের মধ্যে ১৩টি দল অংশ নেবে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক সিরিজে।

সম্মিলিতভাবে যার নাম দেয়া হয়েছে ‘আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগ’। এখানে প্রতিটি দল ২৪টি করে ম্যাচ খেলবে। প্রায় তিন বছরের চক্র শেষে জয় ও পয়েন্টের ভিত্তিতে শীর্ষ আট দল সরাসরি ২০২৩ বিশ্বকাপের টিকিট পাবে। বাকি দু’দল বাছাই করা হবে আইসিসির অন্য সব প্রতিযোগিতা শেষে। এতে ছোট দলগুলোরও সুযোগ থাকবে বিশ্বকাপে খেলার।

পাশাপাশি সহযোগী সদস্য দেশগুলো আগের চেয়ে অনেক বেশি ওয়ানডে খেলার সুযোগ পাবে। ১৩ দলের সুপার লিগে খেলবে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলংকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান, জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস।