Studypress News
বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক
20 Oct 2018
ক্ষুধা নিবারণের যুদ্ধে বিজয়ের সংকল্প নিয়ে গতকাল সোমবার পালিত হয়েছে বিশ্ব খাদ্য দিবস। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল 'ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনো'। তবে গত এক বছরে ক্ষুধা নিবারণে কোন দেশ কতটা অগ্রগতি অর্জন করেছে তার একটি চিত্র পাওয়া গেছে চলতি মাসে প্রকাশিত বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ১০১৮তে। এ বছরও এই সূচকে প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে ১১৯টি দেশের মধ্যে এবার বাংলাদেশের অবস্থান ৮৬তম। গত বছর এ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮৮তম এবং ২০১৬ সালে ছিল ৯০তম। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পেছনে ফেলেছে দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানকে। তবে এবারও এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানকে চিহ্নিত করা হয়েছে বিপজ্জনক হিসেবে।
অপুষ্টি, শিশু মৃত্যুর হার, শিশু বৃদ্ধির হার ও কম ওজনে ভোগা পাঁচ বছরের শিশুদের হার ইত্যাদি বেশ কিছু নির্দিষ্ট মাপকাঠিতে তৈরি করা হয়েছে এ সূচক। গত ১৩ বছর ধরে এ সূচক তৈরি করছে ওয়েলথাংগারহালফ অ্যান্ড কনসার্ন ওয়াল্ডওয়াইড। এবারও তারা ১১৯টি দেশের মধ্যে এ সমীক্ষা করেছে।
সমীক্ষায় গতবারের তুলনায় এ বছরও ভারতকে পিছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। তবে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে নেপাল, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। নেপাল, মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কার স্থান যথাক্রমে ৭২, ৬৮, ৬৭।
সূচকে পিছিয়ে পড়া ভারতের একমাত্র সান্ত্বনা পাকিস্তান। কারণ তাদের চেয়ে তিন ধাপ পিছিয়ে রয়েছে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। ভারত-পাকিস্তান ছাড়াও পিছিয়ে পড়ার তালিকায় রয়েছে- দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার সাহারা। এসব দেশগুলোতে খাদ্য সঙ্কট অত্যন্ত প্রকট।
প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, অনেক দেশই খাদ্য সঙ্কট মেটাতে পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু সব দেশ সমানভাবে ব্যবস্থা না নেয়ায় এখনও বিশ্বের একটা অংশের মানুষ না খেতে দিন কাটাচ্ছে। বিশ্বজুড়ে ১২৪ মিলিয়ন মানুষ চরম ক্ষুধার মধ্যে রয়েছে। দু’বছরের মধ্যে এ সংখ্যা ৮০ মিলিয়ন বেড়েছে। এছাড়া দিন দিন এ সংখ্যাটা আরও বৃদ্ধির শঙ্কা রয়েছে।
এদিকে শুধুমাত্র বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকেই নয় মানব সম্পদ সূচকেও এগিয়ে বাংলাদেশে। যেখানে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাপী পরিচিত মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেটে প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলা হয়েছে এ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬১ এবং পাকিস্তান রয়েছে ১৬৪তম অবস্থানে।
১৯৫টি দেশের ওপর চালানো গবেষণায় ভারতের অবস্থান ১৫৮তম। তবে সেখানেও ভারতের চেয়ে এ সূচকে অন্যান্য এশিয়ান দেশগুলো এগিয়ে রয়েছে। তালিকায় চীনের অবস্থান ৪৪, শ্রীলঙ্কা ১০২, মালদ্বীপ ১১৬, ভুটান ১৩৩ এবং নেপাল ১৫৬।