Studypress News
নতুন দুটি ধানের জাত পাচ্ছেন কৃষক
20 Oct 2018
বোরো মৌসুমে ৪১ ভাগ জমিতে ব্রি ধান২৮ এবং ২৪ ভাগ জমিতে ব্রি ধান২৯ জাতের ধান আবাদ হচ্ছে। জনপ্রিয় এই জাত দুটিই মোট আবাদি এলাকার ৬৫ ভাগ দখল করে থাকে। ১৯৯৪ সালে উদ্ভাবিত এ জাত দুটি এখনও কৃষকদের কাছে জনপ্রিয়। দীর্ঘদিনের পুরনো জাত হওয়ায় এর চাষ প্রযুক্তিও কৃষকরা আয়ত্ত করেছে।
২৪ বছর আগে উদ্ভাবিত এ জাতে নানা রোগ আক্রমণের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এছাড়া প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলায়ও সামর্থ্য হারাচ্ছে। এ জাত দুটির বিকল্প হিসাবে নতুন দুটি জাত পাচ্ছে কৃষকরা। নতুন এ জাত দুটি ব্রিধান ২৮ ও ব্রিধান ২৯ এর চেয়েও ফলন বেশি। ধান পরিপক্ব হয়ও তুলনামূলক কম সময়ে। নতুন উদ্ভাবিত জাত দুটি বোরো মৌসুমে আবাদের জন্য। বোরো মৌসুমে বর্তমানে বাংলাদেশে ৪৭ লাখ হেক্টরে প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ টন চাল উত্পাদন হচ্ছে।
কৃষি গবেষকরা বলছেন, জাত দুটির নাম প্রস্তাব করা হয়েছে বিআর ৮৮ ও বিআর ৮৯। নতুন এ দুটি জাত কৃষকরা আবাদ করলে ফলন আগের চেয়ে বেশি পাবে। মাঠ ও ল্যাবরেটরি গবেষণা শেষ হয়েছে। সাফল্য পাবার পর এবার প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করছে কৃষি বিজ্ঞানীরা। প্রশাসনিক অনুমোদনের পর এটি কৃষক পর্যায়ে আবাদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের একদল বিজ্ঞানী দীর্ঘসময় গবেষণার মাধ্যমে এ জাত দুটি উদ্ভাবন করেছেন।
ব্রিধান ৮৮ এর স্বল্প জীবন কাল; ১৪০ থেকে ১৪৫ দিন। ২৮ এর চেয়ে ফলনও বেশি। ব্র্রিধান ২৮ এর স্বাভাবিক ফলন হেক্টরপ্রতি সাড়ে ৫ থেকে ৬ টন। কিন্তু ৮৮ জাতের ফলন সাড়ে ৬ টন। ২৯ এর জীবনকাল ১৬০ দিনের বিপরীতে ব্রিধান ৮৮ এর জীবনকাল ১৫৪ থেকে ১৫৮ দিন। ২৯ এর হেক্টর প্রতি ফলন সাড়ে ৭ টন। কিন্তু ব্রিধান ৮৯ এর হেক্টর প্রতি ফলন ৮ টন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা। এ ধান দুটি কৃষক পর্যায়ে জনপ্রিয় করা গেলে উত্পাদন আগের চেয়ে অনেক বাড়বে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। কৃষি বিজ্ঞানীরা বলেছেন, গত ৪৫ বছরে ধান উৎপাদন তিনগুণের বেশি বেড়েছে।