Studypress News

জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস উদ্বোধন, ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভ, ইসরাইলি হামলায় বহু নিহত

14 May 2018

আরব বিশ্বের নীরবতার মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিনিদের ব্যাপক বিক্ষোভ এবং ইসরাইলি হামলার মধ্যে দিয়ে তেল-আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তরিত হলো যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস। রক্তক্ষয়ী এই হামলায় প্রায় ৪৩জন নিহত হয়েছে। পশ্চিমা শক্তিধর অন্যান্য দেশ ও প্রতিষ্ঠানের এতে আপত্তি থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে এর মধ্য দিয়ে জেরুজালেমকে ইসরাইলের স্বীকৃতি দিচ্ছেন। দিনটিকে ইসরাইলের ইহুদিরা জেরুজালেম দিবস হিসেবে উদযাপন করছে।

খবরে বলা হয়. জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে ফিলিস্তিন। সোমবার সকাল থেকেই ‘গ্রেট মার্চ অব রিটার্ন’ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ইসরাইলের কাঁটাতারের বেড়া অতিক্রমের চেষ্টা করে ফিলিস্তিনিরা। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর গুলি আর বোমায় প্রাণ হারানো ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৪৩। আার আহত হয়েছেন আনুমানিক ১৭০০ জন। ইসরাইলের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে বিভিন্ন পয়েন্টে ফিলিস্তিনি প্রতিবাদকারীদের টার্গেট করে তাজা গুলি, বোমা আর টিয়ারগ্যাস ছুড়ছে ইসরাইলি সেনারা। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে আহত ১৬৯৩ জনের মধ্যে ৭৪ জনের বয়স ১৮’র নিচে, ২৩ জন নারী এবং ৮ জন সাংবাদিক।
এর মধ্য দিয়ে জেরুজালেম যে ইসরাইলের রাজধানী এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে স্বীকৃতি পাচ্ছে ইসরাইল। এ উপলক্ষে ওল্ড সিটি হিসেবে পরিচিত জেরুজালেমে নেমে এসেছে কয়েক হাজার ইহুদি বসতি স্থাপনকারী। ১৪ই মে’কে ইসরাইল জেরুজালেম দিবস হিসেবে পালন করে বার্ষিক ভিত্তিতে। ১৯৬৭ সালে পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয়ার পর থেকেই তারা এ দিবসটি পালন করে। ফিলিস্তিনিরা পাল্টা বিক্ষোভ করেছে। সেই বিক্ষোভে তীব্র শক্তি প্রয়োগ করেছে ইসরাইলের নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা। আগের বছরগুলোর মতো রোববার ইসরাইলিরা সব ফিলিস্তিনিদের দিক থেকে জেরুজালেমে প্রবেশের সব সড়ক বন্ধ করে দেয়। ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় সব কিছু, যাতে ফিলিস্তিনিরা ওইসব সড়ক পাড় হয়ে দামাস্কাস গেট পৌঁছতে না পারেন। এই দামাস্কাস গেট হলো ওল্ড সিটিতে প্রবেশের অন্যতম গেট। এই গেটের কাছেই এক পাশে অল্প কিছু সংখ্যক ফিলিস্তিনি ও আরব মিডিয়ার সাংবাদিক সমবেত হয়েছিলেন। অন্যদিকে ইহুদিদের বিশাল সমাবেশ।
এর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভানকা ট্রাম্প, জামাই জারেড কুশনার প্রমুখ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের জন্য রোববার বিকেলে বড় ধরনের অভ্যর্থনার আয়োজন করেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।