Studypress News
আন্তর্জাতিক নদীধারা সনদ কার্যকর
17 Aug 2014
সনদটি আন্তর্জাতিক নদীগুলোর পানিপ্রবাহ ব্যবহারে একটি মানদণ্ড। এতে অভিন্ন নদীগুলোর পানি ব্যবহারের সার্বিক নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়া আরবিট্রেশন বা আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার সুযোগও রয়েছে।
সনদটি কার্যকর হওয়ায় ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সংযুক্ত নদীগুলো থেকে প্রবাহিত পানির ন্যায্য হিস্যা না পেলে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিষয়টি উত্থাপন করতে পারবে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে নদীবিষয়ক অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার সুযোগ থাকবে। সনদটি ভাটির দেশগুলোর জন্য রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে।
নিয়ম অনুযায়ী, জাতিসংঘের যে কোনো কনভেনশন কার্যকর করতে হলে অন্তত ৩৫টি সদস্য দেশের অনুস্বাক্ষরের প্রয়োজন হয়। চলতি বছরের ১৯ মে ৩৫তম দেশ হিসেবে ভিয়েতনাম এতে অনুস্বাক্ষর করে এবং নির্ধারিত ৯০ দিন পর গতকাল এটি কার্যকর হয়।
১৯৭০ সালে পানিপ্রবাহসংক্রান্ত একটি পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাবনা তৈরির দায়িত্ব পাওয়ার পর ১৯৯৪ সালে প্রস্তাবনা জমা দেয় আন্তর্জাতিক আইন কমিশন। এ প্রস্তাবনার ভিত্তিতে জাতিসংঘের ষষ্ঠ কমিটি কনভেনশনের খসড়া প্রস্তুত করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাঠায়। ১৯৯৭ সালের ২১ মে প্রস্তাবটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ১০৬ ভোটে গৃহীত হয়। বিপক্ষে তিনটি ভোট পড়ে এবং ভোটদানে বিরত থাকে ভারত ও পাকিস্তান।
আন্তর্জাতিক নদীপ্রবাহ নিয়ে পক্ষগুলো বিরোধ নিষ্পত্তিতে ব্যর্থ হলে বিষয়টি মীমাংসার জন্য এ সনদের ৩৩ অনুচ্ছেদে আরবিট্রেশন বা আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। ৩৩-এর ২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, যদি পক্ষগুলো নিজেরা কোনো বিরোধীয় বিষয় নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হয়, তবে তারা এ সনদে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করে আরবিট্রেশন অথবা আন্তর্জাতিক আদালতের শরণাপন্ন হতে পারবে। একই সঙ্গে ১৪টি ধারাসংবলিত একটি আরবিট্রেশন গাইডলাইন দেয়া হয়েছে এতে। যেখানে কোনো পক্ষ অনুপস্থিত থাকলেও আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনাল রায় দিতে পারবে।