Studypress News
সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশ ৫৭তম
07 Mar 2018
সামরিক শক্তিতে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৫৭তম। তালিকায় আগের মতই প্রথম স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরে দুই, তিন ও চার নম্বরে আছে যথাক্রমে রাশিয়া, চীন ও ভারত।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স ২০১৭-তে এসব কথা বলা হয়। বিশ্বের ১৩৩টি দেশের মধ্যকার নানা তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করেই এই তালিকা করা হয়। এ সব দেশের সামরিক শক্তি বিবেচনায় এ তালিকা করা হয়েছে। গত শুক্রবার সূচকটি প্রকাশ করা হয়।
এর আগে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার (জিএফপি)-এর ১২২টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৫৩তম। সামরিক শক্তির দিক থেকে ব্যাপক আলোচিত উত্তর কোরিয়াকে এবারের তালিকার ২৩তম স্থানে রাখা হয়েছে। মিয়ানমার ৩১ নম্বরে আছে।
পাকিস্তানের সামরিক শক্তি বেড়েছে। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের অবস্থান ছিল ১৭-তে। এবার ১৩তম অবস্থান নিয়ে প্রথমবারের মতো তারা এসেছে শীর্ষ ১৫ তে।
শুধু অস্ত্রের ক্ষমতা নয়, ৫০টি বিষয়ের ভিত্তিতে তালিকাটি করা হয়। তবে এ ক্ষেত্রে পারমাণবিক শক্তির মতো কৌশলগত বিষয়গুলো বিবেচনায় নেয়া হয়নি। এ তালিকা তৈরিতে দেশগুলোর সক্ষমতা ৫০টি বিভাগে পর্যালোচনা করেছে জিএফপি। এই বিভাগগুলোর মধ্যে রয়েছে সামরিক সরঞ্জাম, প্রাকৃতিক সম্পদ, শিল্প, ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য, সেনাসংখ্যা ও প্রযুক্তিসহ অন্যান্য বিষয়।
জিএফপি জানায়, এবার ১৩৩টি দেশের এ তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে পরমাণু অস্ত্রের মজুদ থাকার বিষয়টি এই ক্রম নির্ধারণে বিবেচনা করা হয়নি। এখানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর আঞ্চলিক আধিপত্য।
সেনাসংখ্যা:
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার সামরিক বাহিনীর সক্রিয় সদস্য রয়েছে। ভারতের ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ জন, পাকিস্তানে ৬ লাখ ৩৭ হাজার সেনা রয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সদস্য ২৩ লাখ ৬৩ হাজার ৬৭৫ জন, চীনে ৩৭ লাখ ১২ হাজার ৫০০ জন।
এয়ারক্রাফট:
বাংলাদেশের আছে ১৬৬টি, ভারতের ২ হাজার ১০২টি, পাকিস্তানে ৯৫১টি। যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারক্রাফট আছে ১৩ হাজার ৭৬২, চীনের ২ হাজার ৯৫৫টি, রাশিয়ার ৩ হাজার ৭৯৪টি ।
ট্যাংক:
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে আছে মোট ৫৩৪টি ট্যাংক। ভারতের আছে ৪ হাজার ৪২৬টি ও পাকিস্তানের ২ হাজার ৯২৪টি ট্যাংক। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে রয়েছে ৫ হাজার ৮৮৪টি, চীনের আছে ৬ হাজার ৪৫৭টি ট্যাংক। এ ছাড়া ৯৪২টি সশস্ত্র সাঁজোয়া যান, ১৮টি স্বয়ংক্রিয় আর্টিলারি গান, ৩২টি রকেট প্রজেক্টর রয়েছে বাংলাদেশের।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের কাছে কোনো বিমানবাহী ক্যারিয়ার, ডেস্ট্রয়ার বা সাবমেরিন নেই। তবে বাংলাদেশের সাবমেরিন আছে।