Studypress News
কার্বন কর
26 Feb 2018
কার্বন কর বা কার্বন ট্যাক্স হল জ্বালানী ব্যবহারের ফলে নির্গত কার্বনের উপর ধার্যকৃত কর বা ট্যাক্স। কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপাদনের জন্য তথা পরিবেশ দূষিত করার জন্য জ্বালানী ব্যবহারকারীকে যে ট্যাক্স দিতে হয় প্রথাগতভাবে তাই কার্বন ট্যাক্স হিসেবে গণ্য কর হয়। পেট্রোল, ডিজেল, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাসসহ প্রায় সকল জীবাশ্ম জ্বালানীতেই কার্বন বিদ্যমান এবং তা পুড়িয়ে শক্তি উৎপাদন করলে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়। অপরদিকে কিছু কিছু নবায়নযোগ্য শক্তি যেমন বায়ু শক্তি, সূর্যালোক থেকে প্রাপ্ত বিদ্যুৎ, পানি বিদ্যুৎ এবং পরমাণবিক বিদ্যৎ থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয় না। কার্বনডাই অক্সাইড এবং কার্বন মনো অক্সাইড নির্গত হয়ে পরিমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়লে তা পৃথিবীর তাপকে ধরে রাখে যার ফলে পৃথিবীত তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে পৃথিবীর নিম্নাংশ প্লাবিত করে দিতে পারে। একে গ্রীনহাউস প্রতিক্রিয়া বলে। যেহেতু কার্বনের নিঃসরণই এই প্রতিক্রিয়ার প্রধান কারণ, তাই কার্বন সম্পন্ন জ্বালানী ব্যবহারের উপর অনেক উন্নত দেশে কর আরোপ করা হয়।
যে সব দেশে কার্বন ট্যাক্স চালু আছে:
আফ্রিকা
- জিম্বাবুয়ে
- দক্ষিণ আফ্রিকা
এশিয়া
- চীন
- ভারত
- জাপান
- দক্ষিণ কোরিয়া
- তাইওয়ান
ওশিয়ানিয়া
- নিউজিল্যান্ড
ইউরোপ
- ইউরোপীয় ইউনিয়ন
- ডেনমার্ক
- ফিন্ল্যাণ্ড
- ফ্রান্স
- জার্মানি
- আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্র
- হল্যান্ড
- সুইডেন
- যুক্তরাজ্য
- নরওয়ে
- সুইজারল্যান্ড
সেন্ট্রাল আমেরিকা
- কোস্টা রিকা
উত্তর আমেরিকা
- কানাডা
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
অস্ট্রেলিয়া ২০১২ সালে কার্বন ট্যাক্স চালু করলেও ২০১৪ সালে তা প্রত্যাহার করে নেয়। এছাড়া সিঙ্গাপুর ২০১৯ থেকে এই কর আরোপ করার ঘোষণা দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারও কার্বন ট্যাক্স চালু করার কথা চিন্তা করছে।