Studypress News

গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৯২তম

01 Feb 2018

লন্ডনভিত্তিক সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট-এর ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) গণতন্ত্র সূচক ৩১ই জানুয়ারি বুধবার প্রকাশ করা হয়েছে। ২০১৭ সালের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৯২তম। ১৬৫টি দেশে এবং দুটি ভূখণ্ড নিয়ে এই তালিকা করা হয়েছে। আগের বছর ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ছিল ৮৪তম অবস্থানে। অর্থাৎ এক বছরে সূচকে আট ধাপ নেমে গেছে বাংলাদেশ। গত এক দশকের মধ্যে এই সূচকে এটাই বাংলাদেশের সর্বনিম্ন অবস্থান। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭তম। মূল্যায়নের ১০ পয়েন্টের মধ্যে এখন স্কোর ৫ দশমিক ৪৩। আগের বছর ছিল ৫ দশমিক ৭৩।

আগের বছরের মতো এবারও সূচকে বাংলাদেশ ‘হাইব্রিড শাসনব্যবস্থার’ বিভাগে আছে। ‘হাইব্রিড’ বলতে এমন ব্যবস্থাকে বোঝানো হয়েছে, যেখানে প্রায়ই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয়। বিরোধী দল এবং বিরোধী প্রার্থীদের ওপর সরকারের চাপ নৈমিত্তিক ব্যাপার। দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার এবং দুর্বল আইনের শাসন। নাগরিক সমাজ দুর্বল। বিচারব্যবস্থা স্বাধীন নয় এবং সাংবাদিকদের হয়রানি এবং চাপ দেওয়া হয়।

২০১৭ সালেও গণতান্ত্রিক বৈশ্বিক সূচকে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে নরওয়ে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে যথাক্রমে আইসল্যান্ড ও সুইডেন। আর সবার নিচে অবস্থান করছে উত্তর কোরিয়া। সূচকে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ২১তম। ভারতের অবস্থান ৪২তম। পাকিস্তান ১১০তম এবং মিয়ানমার ১২০তম।

  • ১৬৫টি দেশে ও দুটি ভূখণ্ড নিয়ে এই তালিকা।
  • ২০১৭ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ৯২তম।
  • ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ছিল ৮৪তম অবস্থানে।
  • এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭তম।

ইআইইউ দ্য ইকোনমিস্ট পত্রিকার অঙ্গ প্রতিষ্ঠান দ্য ইকোনমিস্ট গ্রুপের গবেষণা ও বিশ্লেষণ বিভাগ। ২০০৬ সাল থেকে এই গণতন্ত্রের সূচক প্রকাশ করে আসছে তারা। সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৭ সালে বিশ্বব্যাপী সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা কমে একেবারে নিম্ন পর্যায়ে এসেছে। ‘২০১৭ সালে সারা বিশ্বে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিভাগে’ দেখা যায়, মাত্র ৩০টি দেশের জনগণ ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ ভোগ করে। তারা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১১ শতাংশ। ৪৭টি দেশের জনগণ, যারা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৩৫.৯ শতাংশ, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে না।