Studypress News
ডুয়িং বিজনেস রিপোর্ট ২০১৮ এ এক ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ
10 Jan 2018
ডুয়িং বিজনেস রিপোর্ট ২০১৭-এর সঙ্গে তুলনায় এবারের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ আগের চেয়ে এক ধাপ পিছিয়েছে। বিশ্বের ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অবস্থান করছে ১৭৭তম স্থানে। গত বছরের ডুয়িং বিজনেস রিপোর্টে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৭৬তম। আর ২০১৬ সালে অবস্থান ছিল ১৭৪তম। এ হিসাবে প্রতি বছরই ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের এ সূচকে বাংলাদেশের ক্রমাবনতি ঘটছে। এদিকে প্রতিবেশী দেশ ভারত এবার ১৯০টি দেশের মধ্যে ১০০তম স্থানে অবস্থান করছে। ২০১৭ সালের তুলনায় ভারত এবার ৩০ ধাপ এগিয়েছে।
২০১৬ সালের ৩১ মে পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। ব্যবসা শুরু ও পরিচালনার ক্ষেত্রে নিয়ম-কানুন কতটুকু সহজ বা কঠিন, তার ভিত্তিতে প্রতি বছর এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক। চলতি বছরের প্রতিবেদনটি গতকাল সারা বিশ্বে একযোগে প্রকাশ হয়। আট বছর আগে ২০০৯ সালে সূচকটিতে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৮৩ দেশের মধ্যে ১১৫তম।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প স্থাপন ও পরিচালনায় প্রয়োজনীয় সনদ, অনুমোদন, অবকাঠামো ও পরিষেবা প্রাপ্তিতে স্বাচ্ছন্দ্যের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে। এসব ক্ষেত্রে বিভিন্ন মাপকাঠিতে মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে বিভিন্ন দেশের স্কোরের ভিত্তিতে অবস্থান নির্ধারণ করা হয়। চলতি বছর ১০০-এর মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর ৪০ দশমিক ৯৯। ডুয়িং বিজনেস রিপোর্ট ২০১৭তে স্কোর ছিল ৪৪ দশমিক ৮৪। ২০১৬তে স্কোর ছিল ৪০ দশমিক ৮৪। পয়েন্টে সামান্য অগ্রগতি হলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তুলনায় তা কম। তাই সার্বিক সূচকে পিছিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের বার্ষিক ডুয়িং বিজনেস রিপোর্টে মোট ১১টি মাপকাঠিতে ১৯০টি দেশে ব্যবসার পরিবেশের চিত্র পর্যালোচনা করা হয়। এগুলো হলো— স্টার্টিংয়ে বিজনেস বা ব্যবসায় শুরু, ডিলিং উইথ কনস্ট্রাকশন পারমিট বা অবকাঠামো নির্মাণের অনুমতি, গেটিং ইলেকট্রিসিটি বা বিদ্যুতের প্রাপ্যতা, রেজিস্টারিং প্রপার্টি বা সম্পত্তি নিবন্ধন, গেটিং ক্রেডিট বা ঋণ প্রাপ্যতা, প্রটেক্টিং মাইনরিটি ইনভেস্টরস বা (পর্ষদে) সংখ্যালঘু বিনিয়োগকারীর সুরক্ষার নিশ্চয়তা, পেয়িং ট্যাক্স বা কর পরিশোধ ব্যবস্থা, ট্রেডিং অ্যাক্রস দ্য বর্ডার বা বৈদেশিক বাণিজ্যের সহজতা, এনফোর্সিং কন্ট্রাক্ট বা চুক্তি বলবত্করণের ব্যবস্থা, রিজলভিং ইনসলভেন্সি বা অসচ্ছলতা কাটিয়ে ওঠার সুযোগ এবং লেবার মার্কেট রেগুলেশন বা শ্রম বাজারসংক্রান্ত বিধিমালা।
ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্টার্টিং বিজনেস বা ব্যবসা শুরুর সহজতা বিচারে ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩১তম। অবকাঠামো নির্মাণ অনুমোদন প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রয়েছে ১৩০তম অবস্থানে। বিদ্যুত্ সংযোগ পাওয়ার সহজতায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৫তম। একই অবস্থান সম্পদ নিবন্ধনের ক্ষেত্রেও। এছাড়া ঋণ প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে ১৫৯তম, মাইনরিটি বিনিয়োগকারীর সুরক্ষায় ৭৬তম, কর পরিশোধে ১৫২তম, বৈদেশিক বাণিজ্যের সহজতায় ১৭৩তম, চুক্তি বলবতের নিশ্চয়তায় ১৮৯তম ও অসচ্ছলতা কাটিয়ে ওঠার সুযোগ বিচারে ১৫২তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।