Studypress News
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ২০তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত
23 Dec 2017

২১ই ডিসেম্বর থেকে শুরু তিনদিনের এই সম্মেলনে প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘অর্থশাস্ত্র ও নৈতিকতা’।
রাজধানীর কাকরাইলে ইন্সটিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) মুক্তিযোদ্ধা হলে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
দ্বিবার্ষিক এই সম্মেলনের ১২টি কর্মঅধিবেশনে মোট ১১৫টি প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়।
দেশের আর্থিক খাতের সুশাসন নিশ্চিত করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংককে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখতে চান অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা। তারা বলেছেন, খেলাপি ঋণের ভয়াবহ ঝুঁকিতে দেশের অর্থনীতি। প্রতিযোগী সব দেশের চেয়ে বাংলাদেশে খেলাপি ঋণ বেশি। ব্যাংকে বাড়ছে প্রতারণা ও জালিয়াতি। ফলে দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকি তৈরি হয়েছে পুরো অর্থব্যবস্থায়। এসব বিষয়ে অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা সরকারকে সতর্ক পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
সম্মেলনে অর্থনীতি সমিতির ২০১৮-১৯ সালের জন্য ড. আবুল বারকাত সভাপতি ও ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ তার সমাপনী বক্তব্যে ডেপুটি স্পিকারের কাছে অর্থনীতিবিদদের জন্য একটি পৃথক ব্যাংক চান। তিনি বলেন, অর্থনীতিবিদরা সবাই পেশাজীবী। তারা সবাই অল্প করে টাকা দিলেও মূলধনের ঘাটতি হবে না, দক্ষতারও অভাব হবে না। তাই তিনি পুলিশ, বিজিবির মতো অর্থনীতিবিদদের জন্যও একটি ব্যাংক দাবি করেন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকিং খাতে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতি বেড়েছে। এর অন্যতম হলো জাল নোট বেড়েছে। এ প্রসঙ্গে অন্য একটি প্রবন্ধের উপস্থাপক নির্মল চন্দ্র ভক্ত বলেন, ‘জাল নোটের কারণে পুরো আর্থিক খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।’
অর্থনীতি সমিতির নতুন কমিটি : এদিকে অর্থনীতি সমিতির ২০তম সম্মেলনের সমাপনী দিনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংগঠনটির নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত। তিনি এর আগেও একাধিকবার সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার সঙ্গে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবারও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ।
Important News

Highlight of the week
