Studypress News
ঢাকার বায়ুদূষণ কমাতে পরিবেশ অধিদপ্তরে ১১ সুপারিশ
30 Nov 2017
রাজধানীর বায়ুদূষণ কমাতে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। রাজধানীর বায়ুদূষণ কমাতে ১১ দফা করণীয় সুপারিশ করা হয়।
সুপারিশগুলো হলো:
- ইটভাটার দূষণ নিয়ন্ত্রণে সনাতন পদ্ধতি বাদ দিয়ে প্রযুক্তনির্ভর ইটভাটা করা।
- যানবাহনের কার্বন নিঃসরণমাত্রা পরীক্ষা করে ফিটনেসবিহীন যান চলাচল বন্ধ করা।
- দীর্ঘ যানজটে আটকে থাকলে গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ রাখা। শিল্পকারখানায় মনিটরিং জোরদার করা।
- নির্মাণকাজে ব্যবহৃত বালু, সিমেন্ট, ইট ইত্যাদি পরিবহন ও মজুতের সময় ঢেকে রাখা।
- সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ভবন ও অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নের (গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, পয়োনিষ্কাশন ও টেলিফোন লাইন উন্নয়ন ও মেরামত) এর সময় ধূলিদূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে পানি ছিটানো।
- সড়ক নির্মাণ ও মেরামত এবং সেবাদানকারী সংস্থাগুলোর সমন্বয় সাধন করা।
- শিল্পকারখানায় মনিটরিং জোরদার করা ।
- রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির সময় ওই স্থান যতটুকু সম্ভব ঢেকে রাখা ও দিনে একাধিকবার পানি ছিটানো।
- নিয়মিত রাস্তা পরিচ্ছন্ন ও ধুলা নিয়ন্ত্রণে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করা।
- উন্মুক্ত স্থানে সবুজায়ন করা এবং আবর্জনা না পোড়ানো।
- সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা এবং ইট প্রস্তুতকারক সমিতি, বেসরকারি আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাব, পরিবহন মালিক সমিতিকে এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
শুষ্ক মৌসুমে (নভেম্বর থেকে মার্চ) রাজধানীতে বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। এ সময় বাতাসে ২ দশমিক ৫ মাইক্রোমিটার আকারের বস্তুকণার উপস্থিতি বাড়ে। এই বস্তুকণা নিশ্বাসের সঙ্গে রক্তে মিশে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। রাজধানীতে এই বস্তুকণাজনিত দূষণের ৫৮ ভাগ দায় ইটভাটার, ১৮ ভাগ রাস্তা ও মাটি থেকে তৈরি ধুলা, ১০ ভাগ যানবাহন ও ১৪ ভাগ দায় অন্যান্য উৎসের।
সবার সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া শুধু পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে এই দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।