Studypress News

বিমানকে করপোরেশনে ফেরাতে চায় সরকার

22 Nov 2017

কোম্পানি থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে আবারও করপোরেশনে ফেরাতে চায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ।
ধারাবাহিক লোকসান ও নানা অনিয়মের মধ্যে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় করপোরেশন থেকে বিমানকে কোম্পানিতে রূপান্তর করা হয় । যার মূল লক্ষ্য ছিল বিমানকে মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপমুক্ত রাখা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালনা করা । পরিচালনা পর্ষদের হাতে দেওয়া হয় এর নীতি-নির্ধারণের সার্বিক ক্ষমতা ।
কোম্পানি করার পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছরে লাভ করে সরকারের শতভাগ মালিকানাধীন এই প্রতিষ্ঠানটি । ২০০৯ সালের পর বিমান আবার লোকসানের পুরোনো ধারায় ফিরে আসে । বহরে বোয়িং ৭৭৭-এর মতো নতুন প্রজন্মের উড়োজাহাজ যুক্ত হওয়ার পরও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সংস্থাটি । সর্বশেষ দুই বছর ধরে পরিচালন মুনাফার (অপারেশনাল প্রফিট) কথা বলা হলেও অদক্ষ ব্যবস্থাপনার পুরোনো অভিযোগ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বিমান ।


বিমানে সংস্কার করার জন্য গত ২ ফেব্রুয়ারি ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেডের সার্বিক সংস্কার ও উন্নয়নের লক্ষ্যে মতামতসহ প্রতিবেদন প্রদানের জন্য কমিটি’ গঠন করা হয়। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবুল হাসনাত মো. জিয়াউল হকের নেতৃত্বে গঠিত এ কমিটিতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বিমান, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর ওপ্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিনিধিরা ছিলেন। কমিটি গত ৫ অক্টোবর প্রতিবেদন জমা দেয় ।

কমিটি বিমানের সংস্কারের জন্য ১৩ দফা দীর্ঘমেয়াদি ও ২০ দফা স্বল্পমেয়াদি সুপারিশ করেছে। দীর্ঘমেয়াদি সুপারিশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে প্রিন্টিং প্রেসসহ বিমানের অপ্রয়োজনীয় পরিদপ্তরগুলো বন্ধ করে দেওয়া এবং কার্গো বা গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং বিমান থেকে আলাদা করা । বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টার ও পোলট্রি কমপ্লেক্স আলাদাভাবে পরিচালনা না করে মন্ত্রণালয়ের আওতায় একটি দপ্তরের মাধ্যমে পরিচালনার সুপারিশ করেছে । এ ছাড়া দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের চাকরি ২৫ বছর পূর্ণ হলে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সুপারিশও করা হয়েছে ।