Studypress News

গঠিত হচ্ছে মানি লন্ডারিং স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল

19 Nov 2017

অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়নের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে ‘মানি লন্ডারিং স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল’ গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রত্যেক বিভাগে একটি করে আটটি ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হবে। বিশেষ এ ট্রাইব্যুনাল পরিচালনার জন্য নতুন করে ৭২টি পদ সৃষ্টির জন্য আইন মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

‘মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ’ সংক্রান্ত জাতীয় সমন্বয় কমিটির বৈঠকে এ বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। পরে তা বাস্তবায়নের জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি জানানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তা গঠন হতে যাচ্ছে।

আইন ও বিচার বিভাগের প্রস্তাবে ‘মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২’-এর ৯(২) ধারার বিধান মতে এ অপরাধের বিচারের জন্য বিশেষ জজ নিয়োগ এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯-এর ২৮(১) ধারার বিধান মতে প্রয়োজনীয় এলাকায় পর্যাপ্তসংখ্যক বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে। এতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে আটটি মানি লন্ডারিং স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল এবং তা পরিচালনার জন্য পদ সৃষ্টির প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধ হচ্ছে না। বিভিন্ন কৌশলে টাকা পাচার হচ্ছে। পাশাপাশি জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ভাবে সরবরাহ করা হচ্ছে অর্থ। এসব ঘটনার মধ্যে কিছু ঘটনায় মামলা হয়েছে, যা আদালতে বিচারাধীন। কিন্তু দীর্ঘসূত্রতার কারণে এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হচ্ছে না।
টাকা পাচার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থ সরবরাহ বন্ধ করতে সরকারের কৌশলপত্রের বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার অগ্রগতি কম হয়েছে। কৌশলপত্র দ্রুত বাস্তবায়ন করতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), অ্যাটর্নি জেনারেল অব বাংলাদেশ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, আইন মন্ত্রণালয়, পুলিশ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, এনজিওবিষয়ক ব্যুরো, সিআইডি, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, সমাজসেবা অধিদফতর, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ, মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি এবং যৌথ মূলধনী কোম্পানি ফার্মগুলোকে তাগিদ দেয়া হয়েছে।