Studypress News
বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচকে ৯৯তম অবস্থানে বাংলাদেশ
16 Oct 2017
বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচকে ৯৯তম অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে দেশে ব্যবসার পরিবেশের উন্নয়ন ঘটায় এই রাংকিং সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছে বেসরকারী গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
১২টি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবছর প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচক তৈরি করে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডাব্লিউইএফ)। বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে- প্রতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, মুদ্রাবাজারের উন্নয়ন, পণ্য ও শ্রমবাজারের দক্ষতা, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, বাজারের আকার, ব্যবসায় উন্নতি ও উদ্ভাবন প্রভৃতি। এই বিষয়গুলোর ওপর গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের ৮৫ জন ব্যবসায়ীর মতামতের ভিত্তিতে ওই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। ১৯৭৮ সাল থেকে চালু হওয়া এই সূচকে বাংলাদেশ অংশ নিচ্ছে ২০০১ সাল থেকে। প্রতিবেদন মতে, ব্যবসা প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচকে ৭ নম্বরের মধ্যে এবার ৩.৯০ নম্বর নিয়ে ১৩৭টি দেশের মধ্যে ৯৯তম অবস্থানে উঠে আসে বাংলদেশ। ২০১৫ সালে ৩.৮০ নম্বর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০৬তম। বিগত বছরের মতো এবারও এই সূচকে প্রথম অবস্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ড। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্র। তৃতীয় সিঙ্গাপুর, নেদারল্যান্ডস চতুর্থ এবং জার্মানি পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভারত বাংলাদেশের চেয়ে ভাল অবস্থানে থাকলেও এবার একধাপ পিছিয়েছে দেশটি। ভারতের অবস্থান ৪০তম। শ্রীলঙ্কা ৭১তম থেকে পিছিয়ে ৮৫তম অবস্থানে এসেছে। অন্যদিকে, ভুটান ৯৭তম থেকে ৮২তম, নেপাল ৯৮তম থেকে ৮৮তম এবং পাকিস্তান ১২২তম থেকে ১১৫তম অবস্থানে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের অগ্রগতির প্রধান প্রতিবন্ধতা দুর্নীতি। গত বারের প্রতিবেদনে প্রধান প্রতিবন্ধকতা ছিল অবকাঠামোগত ও প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা। ২০১৬ সালে দেশের অবকাঠামোগত ও প্রতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের ফলেই বাংলাদেশ বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচকে সাত ধাপ এগিয়েছে বলে মনে করে সিপিডি। তবে ব্যবসা পরিস্থিতির আরও উন্নয়ন ও ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য প্রযুক্তিগত নীতির উন্নয়নের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।