Studypress News
৮ দেশের নাগরিকের ওপর নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ট্রাম্পের
27 Sep 2017
আটটি দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নতুন আরেকটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় পুরনো আদেশের আওতাধীন পাঁচটি দেশ হলো— ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া ও ইয়েমেন। এছাড়া নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত দেশগুলো হলো— উত্তর কোরিয়া, ভেনিজুয়েলা ও শাদ। দেশগুলোর বাসিন্দাদের ওপর এ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণ হিসেবে নিরাপত্তা সংকট ও মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্কের অভাবকে চিহ্নিত করেছে ওয়াশিংটন।
৯০ দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ঘোষিত ট্রাম্পের আগের আদেশটির মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর পরই ছয় দেশের বাসিন্দাদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারি করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এ নিয়ে তুমুল প্রতিবাদ ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয় তাকে। সে সময় অভিযোগ ওঠে, ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ঠেকানোর উদ্দেশ্যেই এ আদেশে সই করেছেন ট্রাম্প। মার্কিন আদালতের রায়ে ওই সময় আদেশটির বাস্তবায়ন আটকে গেলে পরবর্তীতে নতুন করে আরেকটি আদেশ জারি করেন ট্রাম্প। সে সময় হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রকে সন্ত্রাসী হামলা থেকে রক্ষার জন্যই এ আদেশ।
আগের নির্বাহী আদেশে ছয় মুসলিমপ্রধান দেশের মধ্যে সুদানের নাম থাকলেও দেশটিকে নতুন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সুদানের
সন্ত্রাসবিরোধী সাম্প্রতিক প্রয়াসগুলোকে বেশ প্রশংসার চোখে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী মাসেই খার্তুমের ওপর থেকে আরোপিত বেশকিছু অবরোধ তুলে নেয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নতুন করে যোগ হয়েছে উত্তর কোরিয়া, শাদ ও ভেনিজুয়েলা। এর মধ্যে উত্তর কোরিয়া ও শাদের বাসিন্দাদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়েছে। ভেনিজুয়েলার বাসিন্দাদের আনা হয়েছে আংশিক নিষেধাজ্ঞার আওতায়। এছাড়া তালিকার পুরনো পাঁচটি দেশ ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া ও ইয়েমেনের ক্ষেত্রে আগের পূর্ণ নিষেধাজ্ঞাই বলবত্ থাকবে।
ভেনিজুয়েলার ওপর আরোপিত আংশিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় দেশটির স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারি এজেন্সি, সংস্থা, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। তবে দেশটির সাধারণ নাগরিকরা এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন না। এ বিষয়ে আদেশে বলা হয়, নিরাপত্তা ইস্যুতে কারাকাসের অসহযোগিতামূলক আচরণের কারণেই ভেনিজুয়েলাকে এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।