Studypress News
মিচেল স্টার্কের গতির রেকর্ড।
15 Nov 2015
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে পার্থ টেস্টের তৃতীয় দিনে দ্বিতীয় নতুন বলে একটি ডেলিভারিতে ঘণ্টায় ১৬০.৪ কিলোমিটার গতি তুলেছেন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক। গতির স্বীকৃত রেকর্ডে এটি ক্রিকেট ইতিহাসের পঞ্চম দ্রুততম বল; বাঁহাতি পেসারদের মধ্যে দ্রুততম।
টেস্ট ইতিহাসেও এটি রেকর্ডে থাকা সবচেয়ে দ্রুতগতির বল।
পার্থের ওয়াকা এক সময় বিশ্বের সবচেয়ে গতিময় উইকেট বলে বিবেচিত হতো। সে সব দিন এখন অতীত। এবার তো উইকেট একদমই ব্যাটিং স্বর্গ। ওয়াকা টেস্টে এবার আলোচনায় আছে বলও। অল্পতেই বল নরম হয়ে যাচ্ছে বলে একটু পরপরই বদলাতে হচ্ছে বল। এক সময়ের পেস স্বর্গে এবার পেসারদের ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা।
হঠাৎই দৃশপট বদলে দিলেন মিচেল স্টার্ক। রোববার ম্যাচের তৃতীয় দিনে লাঞ্চের পর এই বল দিয়ে এই উইকেটেই আগুন ঝরালেন। দ্বিতীয় নতুন বলে তুললেন গতির ঝড়! এই পরিক্রমায় ঢুকে গেলেন ইতিহাসেও।
দ্বিতীয় নতুন বলেরও সেটি ছিল আসলে দ্বিতীয় বল। আবারও বল নরম হয়ে যাওয়ায় ৫ ওভার পরই বদলাতে হয় নতুন বল। বদলে নেওয়া সেই বলে নিজেকে ছাড়িয় যেতে থকেন স্টার্ক। এক ওভারে ১৫২, ১৫৩ ছাড়িয়ে ১৫৪ কিলোমিটারও ছাড়িয়ে গেলেন। পরের ওভারেই ছুঁয়ে ফেললেন ফাস্ট বোলারদের স্বপ্নের গতি!
নিউ জিল্যান্ড ইনিংসের ৮৯তম ও স্টার্কের নিজের সেটি ২১তম ওভারের চতুর্থ বল। ইয়র্ক লেংথের বলটি ঠেকিয়ে দিলেন রস টেলর। ওয়াকার স্পিডগানে গতি দেখা গেল ১৬০.৪ কিমি!
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরুর প্রথম প্রায় একশ’ বছরেও ছিল না স্পিডগান। তাই সব সময়ের সব বোলারদের গতি নির্ধারণের উপায়ও ছিল না। স্পিডগান আসার পরও যন্ত্রের মানের কারণে বৈধতা নিয়ে অনেক সময়ই থেকে গেছে অনেক প্রশ্ন। তার পরও স্পিডগান আসার পর গতির যে স্বীকৃত রেকর্ড, সেটা অনুযায়ী ১৬০ কিলোমিটার স্পর্শ করা মাত্র পঞ্চম বোলার স্টার্ক। বাঁহাতি পেসারদের মধ্যে তিনিই প্রথম!
আরও অনেকবারই অনেক বোলার অনেক বেশি গতি তুলেছেন। তবে স্পিডগানের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকায় সে সব ঠিক স্বীকৃত বলে বিবেচিত হয়নি।