Studypress News

ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋন

06 Aug 2017

বর্তমানে বাংলাদেশে খেলাপি ঋন সমস্যা অত্যন্ত প্রকট হয়ে উঠেছে। বলা হয় যে,এই খেলাপি ঋন সমস্যা বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে  । এর কারণে উচ্চ সুদের হার সহ আরো অনেক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। 

ব্যাংকিং খাতে ধারাবাহিকভাবে খেলাপি ঋণ বাড়ছে। ২০১৩ সালে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির হার ছিল ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ২০১৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ২৩ শতাংশে। এভাবে খেলাপি ঋণ বাড়ার বিষয়টি ব্যাংকিং খাতের জন্য হুমকি।চলতি ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত (৯ মাস) সরকারি মালিকানাধীন আট ব্যাংকের খেলাপিঋণের পরিমাণ ৪১ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা। এ সময় খেলাপি ঋণ আদায় হয়েছে মাত্র ৩ হাজার ১৫২ কোটি টাকা। সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক মিলিয়ে খেলাপিঋণের পরিমাণ ৭৩ হাজার ৪০৯ কোটি টাকা। বর্তমানে দেশের ৫৫টি ব্যাংকে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে ঋণখেলাপির পরিমাণ ২ লাখ ২ হাজার ৬২৩। ওপরের দুটি তথ্যই রীতিমতো অাঁতকে ওঠার মতো। এর বাইরের তথ্য হলো_ অবলোপন করা হয়েছে ৪৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ। তারপরও গত মার্চ থেকে এক বছরে খেলাপিঋণের পরিমাণ ১৪ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী প্রতি বছর খেলাপিঋণের পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। 
প্রত্যেক দেশেই খেলাপি ঋণ রয়েছে। তবে আমাদের দেশের মতো এত বেশি নয়। খেলাপিঋণের সমস্যা ও সমাধানের আলোচনায় যাওয়ার আগে জেনে নিই খেলাপি ঋণ কী। মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের বয়স অনুসারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারের বিধানমতে মেয়াদি ঋণকে বিভিন্ন ধরনের শ্রেণিকরণ করা হয়। যেমন_ এসএমএ, সাব-স্ট্যান্ডার্ড, ডাউটফুল, ব্যাড অ্যান্ড লস ইত্যাদি। এসব গ্রুপভুক্ত মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণকেই একযোগে 'শ্রেণিকৃত ঋণ' বলে। ব্যাংকগুলো মেয়াদি ঋণ ও স্বল্পমেয়াদি ঋণ উভয়ই মঞ্জুর করে থাকে। মেয়াদিঋণের ক্ষেত্রে যখন যে তারিখে কিস্তি ডিউ হয় সে তারিখে ওই কিস্তি পরিশোধ না করলেই তা পরের দিন থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ বা খেলাপি ঋণ বলে গণ্য হয়। প্রসঙ্গত, ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপিঋণের যে হিসাব দিয়ে থাকে তাকে মূলত 'নিয়মিত খেলাপি ঋণ' বলা হয়ে থাকে। এর বাইরেও প্রায় সমান পরিমাণ অবলোপনকৃত খেলাপি ঋণ রয়েছে। সাধারণত খেলাপিঋণের হিসেবে অবলোপন করা ঋণকে ধরা হয় না। এতে সাধারণভাবে খেলাপিঋণের পরিমাণ কিছুটা কম দেখানো হয়। অর্থনীতিবিদদের মতে অবলোপন করা ঋণও প্রকৃত খেলাপি ঋণ। মূলত যেসব ঋণ আদায়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ, সেসব ঋণকে আর্থিক সুবিধার্থে ব্যাংকের স্থিতিপত্র বা ব্যালেন্স শিট থেকে বাদ দেয়া হয়।

খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির কারণ, এ সমস্যা সমাধানের উপায়, ঋণখেলাপিদের শাস্তির আওতায় আনা, ইত্যাদি বিষয় নিয়ে অনেক সভা-সেমিনার, গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশিষ্টজনরা সমাধানের অনেক পথ বাতলেছেন। তারপরও ব্যাংকিং খাতে খেলাপিঋণের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। দুষ্টচক্র ব্যাংকিং খাতের ওপর এমনভাবে আছর করেছে যে এ খাতকে সহজেই দুর্নীতিমুক্ত করা যাচ্ছে না। ক্রমেই খেলাপিঋণের ভয়াবহতা বেরিয়ে আসছে। জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য পিনু খান থেকে পাওয়া ১ লাখ ১৬ হাজার টাকা খেলাপিঋণের তথ্যটিই এ খাত কতটা দুর্নীতিগ্রস্ত তা প্রমাণে যথেষ্ট। বস্তুত ঋণের টাকা ফেরত না দেয়াটা এখন 'ডিফল্ট কালচার'-এ পরিণত হয়েছে।

খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির অনেক কারণ রয়েছে। 

 প্রথমত, দায়ী হচ্ছে দেশের ব্যাংকিং সেক্টরের এক ধরনের কর্মকর্তা। তারা গ্রাহকদের কাছ থেকে নানা ধরনের আর্থিক ও বৈষয়িক সুবিধা গ্রহণ করে কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই না করেই ঋণ প্রদান করে থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য রাজনৈতিক চাপও থাকে।

 দ্বিতীয়ত, পুনঃতফসিল করা ঋণগুলোর একটি বড় অংশ আদায় না হওয়া। বাংলাদেশের বর্তমান সংস্কৃতি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, পুনঃতফসিল করা ঋণগুলো ব্যবসায়ীরা পরিশোধ করতে চায় না। ঋণখেলাপিরা সহজশর্তে ব্যাংক থেকে ঋণ পুনঃতফসিলের সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও ঋণ পরিশোধ করছে না। উদাহরণ দিতে বলা যায়, অগ্রণী ব্যাংক ২০১৫ সালে বিশেষ সুবিধায় ২ হাজার ৬৭ কোটি টাকার ঋণ পুনঃতফসিল করা সত্ত্বেও ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ বেড়েছে। বিশেষ বিবেচনায় পুনঃতফসিল করা অধিকাংশ ঋণখেলাপির ঝুঁকিতে পড়েছে।

তৃতীয়ত, সরকারি ব্যাংকগুলো থেকে রাজনৈতিক বিবেচনায় ঋণ দেয়া অধিকাংশ অর্থই খেলাপিঋণে পরিণত হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর পরিমাণ এতই বেশি হয়, ব্যাংক বাঁচাতে সরকারকে বিশেষ তহবিল গঠন করতে হয়।

 চতুর্থত, যে উদ্দেশ্যে ঋণ প্রদান করা হয় তার যথাযথ ব্যবহার না হওয়া। বর্তমান সময়ে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে আগ্রাসী ব্যাংকিংয়ের মতো এক ধরনের অসুস্থ প্রতিযোগিতা বিরাজ করছে। ফলে গ্রাহকরা ব্যাংকের কাছে নয় বরং ব্যাংকগুলোই ঋণ দেয়ার জন্য বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানির কাছে ধর্ণা দিচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এসব কোম্পানিকে প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ তিনগুণ অর্থঋণ দেয়া হচ্ছে। এতে ঋণগ্রহীতা বাড়তি টাকাগুলো অন্য খাতে খরচ করার সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। পরে এই অতিরিক্ত প্রদত্ত অর্থই খেলাপিঋণে পরিণত হচ্ছে।

পঞ্চমত, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর পরিচালকরা নিজেদের মধ্যে ঋণ আদান-প্রদান করছে। অনেক ক্ষেত্রে পরিচালকদের চাপে তাদের পছন্দমতো লোকদের ঋণ দিতে এমডিরা বাধ্য হচ্ছে। ফলত এসব ঋণগুলোর অধিকাংশই যথাযথ নিয়ম মেনে দেয়া হচ্ছে না।

 ষষ্ঠত, মামলায় আটকে গেছে বড় অঙ্কের খেলাপি ঋণ। খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যাংকগুলো অর্থঋণ আদালতে গেলেও মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হচ্ছে না। 

সপ্তমত, অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ সৃষ্টি করা হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ২০০১ সালে সরকারের ইক্যুইটি অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপ ফান্ড (ইইএফ) থেকে সুদবিহীন ঋণ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্তত ৭৭টি প্রতিষ্ঠানের কোনো অস্তিত্বই নেই বলে গত ৯ ফেব্রুয়ারি যুগান্তরে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

 অষ্টমতম, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদারকি জোরদার না করা। বাস্তবসম্মত ও প্রযুক্তিগত দিক কাজে লাগিয়ে খেলাপিঋণের পরিমাণ কমানোর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো যুগান্তকারী পদক্ষেপ চোখে পড়ে না। অনেকসময় পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়, ঋণ বিতরণ, মঞ্জুর ও আদায়ের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। 

 

নবমতম, সুদের হার বেশি হওয়া। 

দশমতম, তথ্য গোপন করে খেলাপি গ্রাহককে ঋণ দেয়া। ঋণ প্রদানের আগে সিআইবি রিপোর্ট সংগ্রহ বাধ্যতামূলক হলেও অনেক ব্যাংক গ্রাহকের হালনাগাদ সিআইবি রিপোর্ট না নিয়েই ঋণ দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। 

একাদশতম, ব্যাংকিং খাতের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করা। বিভিন্ন সময় বড় বড় ঋণখেলাপিকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিয়ে ঋণ মওকুফ করায় অন্য খেলাপিরাও সাহস পেয়ে যাচ্ছে।

 দ্বাদশতম, বিশেষ সুবিধা দেয়াটাই ব্যাংকিং খাতের সর্বনাশ ডেকে এনেছে। ব্যাংক খাতে বিশেষ সুবিধা নেয়াটা এখন কালচার বা সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুযোগ দিতে দিতে এমন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে যারা ভালো গ্রাহক ছিলেন, তারাও এখন টাকা ফেরত দিতে চান না। 

ত্রয়োদশতম, বাংলাদেশের অর্থনীতির তুলনায় ব্যাংকের সংখ্যা অনেক বেশি। ফলে ছোট অর্থনীতিতে বা্যংকগুলো অসুস্থ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে।

চতুর্দশতম, ঋণের অর্থ পাচার হওয়া। ঋণের অর্থ পাচারে জড়িয়ে পড়ছে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও। নিয়মিত ঋণ পরিশোধ না করা এসব ব্যবসায়ীরাই ঠিক করে দিচ্ছে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন পদে কারা আসবে।

 পঞ্চদশতম, সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ সংশোধন কার্যকর হলে ব্যাংকিং খাতে আরও অস্থিরতা বিরাজ করবে। কয়েকজন পরিচালক মিলে বেসরকারি ব্যাংকগুলোয় যে সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে তা আরও জোরদার হবে। ঋণ কারা পাবে, কারা এমডি হবে_ সবই ঠিক করবে এ সিন্ডিকেট। ফলে ব্যাংকগুলোর এমডিরা কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। তাদের চাপে প্রদত্ত ঋণগুলোই খেলাপি হচ্ছে

 

∎StudyPress-এ রেজিস্ট্রেশন করবেন যেভাবে--

- প্রথমে, www.studypress.org -এই অ্যাড্রেসে যান।

-- তারপর, (Sign up Now)-এ Click করুন।

-- এবার, আপনার (email ID), (Mobile number) এবং নিজের পছন্দের (password) লিখুন।

- এবার, (সাইন আপ) -এ ক্লিক করুন।

Or, স্টাডিপ্রেসে আপনার রেজিস্ট্রেশন করা আছে কিন্তু "পাসওয়ার্ড " ভুলে গেছেন। তাহলে আপনার "ই-মেইল" ও "মোবাইল নম্বর" studypress FB page -এ Message পাঠান। নতুন পাসওয়ার্ড দেওয়া হবে।

 

∎আমাদের যোগাযোগ করতে পারবেন ৩ (তিন) ভাবে-

১। সরাসরি কথা বলুন-(০১৯১৭-৭৭৭০২১)

২। StudyPress ফেসবুক পেইজে ইনবক্স করুন অথবা,

৩। ওয়েবসাইটের অন-লাইন চ্যাট অপশনটি ব্যবহার করুন।

∎আমাদের বিশেষজ্ঞ শিক্ষক আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত 24/7

# কোর্সের ফি দিতে পারবেন আমাদের ওয়েবসাইট থেকে অনলাইন পেমেন্টে র মাধ্যমে অথবা বিকাশের মাধ্যমে। ০১৯১৭৭৭৭০২১/০১৭১৯৪৩৪৮৮৫ আমাদের বিকাশ নাম্বার।

bcs, bcs exam, bcs exam bangladesh, bcs exam results, bcs exam question, bcs exam quesitons, bcs exam time table 2017, bcs exam 2017, bcs exam papers, bcs exam preparation, bcs exam preparation books, bcs exam requirements, bcs exam fees, bcs exam results portal, bcs exam result 2017, bcs exam results release date, bcs exam bangladesh 2017, bcs exam bangladesh syllabus, bcs exam bangladesh preparation, bcs exam bangladesh sample quesitons, bcs exam bangladesh rules, bcs exam question and answer, bcs exam question and answer 2016, bcs exam question and answer 2015, bcs exam question and answer 2017, bank job bangladesh 2017, bank job bangladesh circular, bank job bd circular, bank job bd guide বিসিএস, বিসিএস প্রস্তুতি, বিসিএস সিলেবাস, বিসিএস প্রশ্ন, বিসিএস বই ডাউনলোড, বিসিএস লিখিত পরীক্ষার বই, বিসিএস কি, বিসিএস পরীক্ষা, বিসিএস পুলিশ ক্যাডার, বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস, বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার, বিসিএস প্রস্তুতি বই ডাউনলোড, বিসিএস প্রস্তুতি ৩৮, বিসিএস প্রস্তুতি রুটিন, বিসিএস প্রস্তুতির বই, বিসিএস প্রস্তুতি প্রশ্ন, বিসিএস প্রস্তুতি pdf, বিসিএস সিলেবাস ৩৭তম, বিসিএস সিলেবাস ৩৮তম, বিসিএস সিলেবাস ৩৬তম, বিসিএস সিলেবাস ৩৫তম, বিসিএস সিলেবাস pdf, বিসিএস সিলেবাস ডাউনলোড, বিসিএসের সিলেবাস, বিসিএস এর সিলেবাস, ৩৮তম বিসিএস এর সিলেবাস, ৩৮ তম বিসিএস ৩৮ তম বিসিএস প্রস্তুতি, ৩৮ তম বিসিএস সিলেবাস, ৩৮ তম বিসিএস কবে হতে পারে, ৩৮ তম বিসিএস প্রিলি প্রস্তুতি, ৩৮ তম বিসিএস পরীক্ষা, ৩৮তম বিসিএস প্রিলি, ব্যাংক জব প্রস্তুতি বই, ব্যাংক জব প্রশ্ন, ব্যাংক জব সার্কুলার ২০১৭, ব্যাংক জব ২০১৭, ব্যাংক জবের প্রস্তুতি, ব্যাংক জব কোচিং, ব্যাংক জব সিলেবাস, ব্যাংক জব সলুশন,