Studypress News

ঢাকার জলাবদ্ধতা সমস্যা ও সমাধান

01 Aug 2017

বাংলাদেশ গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা অববাহিকায় সৃষ্ট পৃথিবীর বৃহত্তম ও কনিষ্ঠ বদ্বীপ। এই বদ্বীপের বৈশিষ্ট্য হলো বহু বৃষ্টিপাত অঞ্চল ও পানি প্রবাহের/নিষ্কাশনের একটি করিডোর বা বিশাল পানির পাত্র। বদ্বীপের ভৌগোলিক অবস্থান দক্ষিণে বঙ্গোপসারে ও উত্তরে হিমালয় পর্বত এর মধ্যখানে বাংলাদেশ। চেরাপুঞ্জির মতো বাত্সরিক ১২ হাজার মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের ভাটির অঞ্চলে, ঢাকা তিনটি আন্তর্জাতিক বৃহত্তম নদী ব্যবস্থার তথা হিমালয়ের নদীর মোহনার সামান্য উপরে এবং পানি প্রবাহের সঙ্গে বাহিত পলি দ্বারা গঠিত এবং গঠনপ্রক্রিয়া অব্যহত রয়েছে। প্রকৃতি বাংলাদেশকে দুই ভাগে গঠন করেছে। এর মধ্যে:

(ক) আদি যুগের পাহাড়ি এলাকা বা পার্বত্য এলাকা বরেন্দ্রভূমি মধুপুর জঙ্গল, এবং কুমিল্লার উচ্চ ভূমি 

 (খ) উপসাগরের মধ্য থেকে পলি অবক্ষেপন-সঞ্চিত হয়ে প্লাবন ভূমি এই ভূ-ভাগকে সৃষ্টি এবং সমতল ভূমি বদ্বীপ গঠন। 

এইভাবে নিচু ভূমিকে ক্রমশ উচু করছে। এর মধ্য প্রথমটি মোট ভূ-ভাগের ২৫ ভাগ এবং দ্বিতীয়টি ৭৫ ভাগ অতএব দেশটি পানির মাধ্যমে প্রবাহিত পলি দ্বারা গঠিত। 

বিগত কয়েক বছর  থেকেই আমরা দেখছি, কয়েক ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর অনেক সড়ক, অলিগলি পানিতে ডুবে যাচ্ছে।  সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এ কারণে নগরবাসীকে পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। বিপাকে পড়ছেন কর্মমুখী মানুষ। স্কুল-কলেজগামী ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে অভিভাবকদের বিপদও কম নয়। দেশের প্রাণকেন্দ্র রাজধানীর যদি এমন অবস্থা হয়, তাহলে অন্যান্য শহরের অবস্থা সহজেই অনুমেয়। 

রাজধানীর জলাবদ্ধতা নতুন বিষয় নয়। প্রতিবছর বাজেট বাড়ে, কিন্তু বৃদ্ধি পায় না উন্নতির গ্রাফ। নগরবাসীর নাগরিক সুবিধা আজও  নিশ্চিত হয়নি। গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষণ ও মুষলধারে বৃষ্টি নগরবাসিকে চরম দুর্ভোগে ফেলেছে। এতে অনেক নিচু এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অনেক বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে। কোনো কোনো এলাকায়, এই রাজধানীতেই বৃষ্টির পানি ছাড়াও স্যুয়ারেজের নোংরা পানি জমে থাকে। ফলে দেখা যাচ্ছে,  জলাবদ্ধতা প্রতি বছর বাড়ছেই, কমছে না। রাজধানীর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার দুরবস্থার কারণে সামান্য বৃষ্টিতেও অনেক জায়গার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। এ সময় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বর্ষায় ভারি ও টানা বৃষ্টিতে এ সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করে। 

ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বলছে, সারা বছর ঢাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, নির্মাণ ও পয়ঃনিষ্কাশনের কাজ চলে। কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখছি, বিগত বছরগুলোতে শত শত কোটি টাকা ব্যয় করেও জলাবদ্ধতা নিরসনে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য দেখাতে পারেনি গুরুত্বপূর্ণ এ সেবা প্রতিষ্ঠানটি। ২০০১ সাল থেকে ঢাকা ওয়াসা রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে দুইশ কোটিরও বেশি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করে। প্রকল্পের আওতায় নগরীর ২৬৫ কিলোমিটার এলাকায় বিভিন্ন স্থানে ভূগর্ভস্থ পাইপলাইন স্থাপন, বক্সকালভার্ট নির্মাণ, খালের উন্নয়ন ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার কাজে বিভিন্ন নির্মাণের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা দূর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু পাঁচবছর মেয়াদী এ প্রকল্পটির তিনবার মেয়াদ বাড়ানো হয়। এতে এর ব্যয় ১৪৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা থেকে বেড়ে ২০৩ কোটি ২৬ লাখ টাকায় দাঁড়ায়। ২০১০ সালে কাজ শেষ করে ওয়াসা। 

এখন প্রশ্ন হলো, এতো বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের পরও নগরীর জলাবদ্ধতা কমেনি, বরং আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ নগরবাসীর। এরপর ২০১০ সালেই নগরীর বিভিন্ন স্থানে পাইপলাইন স্থাপন, খাল পুনঃখনন, নর্দমার লাইন নির্মাণ ও পরিস্কারসহ বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনে ওয়াসাকে ১৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। বাজেট থেকে প্রতি অর্থবছরে বড় অঙ্কের বরাদ্দ দেয়া হয় এ প্রতিষ্ঠানটিকে। শুধু তাই নয়, প্রতিষ্ঠানটির সুনির্দিষ্ট একটি বিভাগ রয়েছে, যাদের কাজ রাজধানীর সব ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার রাখা। কিন্তু তারা যে দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না ইতিমধ্যেই এ অভিযোগ উঠেছে। অথচ এই বিভাগে আলাদাভাবে প্রায় তিনশ লোকও রয়েছে বলে জানা যায়। 

 

সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ঢাকা ওয়াসা, স্থপতি ইনস্টিটিউট ও ডিএনসিসি- এই তিনটি সংস্থার সমন্বয়ে জলাবদ্ধতা নিরসনে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন বলছে, নগরীর উন্নয়নে অনেকগুলো প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে, এর মধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসন অন্যতম। অর্থাৎ এই জন-দুর্ভোগ দূর করতে পুনরায় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটি আশার কথা। এখন দেখতে হবে এই আশা যেন দূরাশায় পরিণত না হয়। কারণ এবার পুরো বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতায় নগরবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এ সময় সড়কের খোলা ম্যানহোল মরণফাঁদে পরিণত হয়। এতে অনেক হতাহতের ঘটনাও ঘটে। 

যদিও সিটি কর্পোরেশনের লোকদের মতে,  জলাবদ্ধতা নিরসন করা মূলত ওয়াসার কাজ। কিন্তু নগরবাসীর দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে সিটি করপোরেশনও এ দায়িত্ব পালন করে। ইতিমধ্যে তারা রাজধানীর নিন্মাঞ্চলগুলোর তালিকা তৈরি করেছেন।  তালিকা অনুযায়ী শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক, খিলগাঁও, বাসাবো, মানিকনগর, গুলিস্তান, নিউমার্কেট, আরামবাগ, রাজারবাগ, যাত্রাবাড়ী, জুরাইন, পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকা, কারওয়ান বাজার, মতিঝিল, রামপুরা, বাড্ডা, মোহাম্মদপুর, মহাখালী, বনানী, গুলশান, কালাচাঁদপুর, জোয়ার সাহারা, মিরপুর-১ ও ১০, কুড়িলসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা নিয়মিত ঘটনা। 

এ সমস্যা নিরসনে আমাদের নিজেদের ও কিছু করণীয় রয়েছে।  আমরা সকলেই এ জন্য সিটি করপোরেশনের অদক্ষতা, অবহেলা, অপরিকল্পিত নগরায়ণকে দায়ী করি। আমাদের জেনে রাখা ভাল যে,এ জন্য সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি আমরাও দায়ী। 
 বাসার ময়লা আবর্জনা আমরা  অধিকাংশ সময় দেখা যায়  বাসার পাশের ড্রেনে অথবা রাস্তার পাশে ফেলে রাখি । এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে আমরা সচেতন নই। নাগরিক সচেতনতা ছাড়া আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের পক্ষে এগিয়ে যাওয়াটা প্রায় অসম্ভব। একইসঙ্গে সরকারকেও নজরদারি বাড়াতে হবে। ভেবে দেখতে হবে, এই সহজসত্য, আমাদের মতো উন্নয়নশীল ও স্বল্প বাজেটভুক্ত দেশে সিটি করপোরেশনের পক্ষে প্রতিদিন এই প্রচুর ময়লা পরিস্কার করা কষ্টসাধ্য। এখানে আমার, আপনার সবার একযোগে সিটি করপোরেশনকে সহযোগিতা করা দরকার। 

অপরদিকে পলিথিন, প্লাস্টিক আজ  আমাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত ২০০১ সালে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু আজও  আমরা তা ব্যবহার করছি। এ জন্য দায়ী কি সিটি করপোরেশন না আমরা নিজে? স্বাভাবিক বৃষ্টির সময় সকল ধরনের ময়লা ও কাদামাটি পানির সাথে মিশে ড্রেন ও নালায় জমাট হয়ে পানির স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে ঘটে জলাবদ্ধতা। নিজ এলাকা পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য সিটি করপোরেশনকে সহায়তা করা প্রয়োজন। আর সিটি করপোরেশনের উচিত জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আরও প্রচার করা। তাদেরও উদ্যোগি হতে হবে। এটা লোক দেখানো বা কিছুদিনের জন্য হলে হবে না। স্থায়ীভাবে পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। রাজধানীর খালগুলো দখল মুক্ত করতে হবে। বর্ষার সময় তোড়জোড় করে জোড়াতালি দিয়ে কাজ করার মানসিকতা পরিহার করতে হবে। কাউন্সিলরদের উচিত নিজ এলাকার ড্রেনেজ সিস্টেম তদারক করা। প্রয়োজনে শীতের সময় এ নিয়ে কাজ করা এবং অবশ্যই বর্ষার আগে কাজ শেষ করা। 

 

 

 

∎StudyPress-এ রেজিস্ট্রেশন করবেন যেভাবে--

- প্রথমে, www.studypress.org -এই অ্যাড্রেসে যান।

-- তারপর, (Sign up Now)-এ Click করুন।

-- এবার, আপনার (email ID), (Mobile number) এবং নিজের পছন্দের (password) লিখুন।

- এবার, (সাইন আপ) -এ ক্লিক করুন।

Or, স্টাডিপ্রেসে আপনার রেজিস্ট্রেশন করা আছে কিন্তু "পাসওয়ার্ড " ভুলে গেছেন। তাহলে আপনার "ই-মেইল" ও "মোবাইল নম্বর" studypress FB page -এ Message পাঠান। নতুন পাসওয়ার্ড দেওয়া হবে।

 

∎আমাদের যোগাযোগ করতে পারবেন ৩ (তিন) ভাবে-

১। সরাসরি কথা বলুন-(০১৯১৭-৭৭৭০২১)

২। StudyPress ফেসবুক পেইজে ইনবক্স করুন অথবা,

৩। ওয়েবসাইটের অন-লাইন চ্যাট অপশনটি ব্যবহার করুন।

∎আমাদের বিশেষজ্ঞ শিক্ষক আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত 24/7

# কোর্সের ফি দিতে পারবেন আমাদের ওয়েবসাইট থেকে অনলাইন পেমেন্টে র মাধ্যমে অথবা বিকাশের মাধ্যমে। ০১৯১৭৭৭৭০২১/০১৭১৯৪৩৪৮৮৫ আমাদের বিকাশ নাম্বার।

bcs, bcs exam, bcs exam bangladesh, bcs exam results, bcs exam question, bcs exam quesitons, bcs exam time table 2017, bcs exam 2017, bcs exam papers, bcs exam preparation, bcs exam preparation books, bcs exam requirements, bcs exam fees, bcs exam results portal, bcs exam result 2017, bcs exam results release date, bcs exam bangladesh 2017, bcs exam bangladesh syllabus, bcs exam bangladesh preparation, bcs exam bangladesh sample quesitons, bcs exam bangladesh rules, bcs exam question and answer, bcs exam question and answer 2016, bcs exam question and answer 2015, bcs exam question and answer 2017, bank job bangladesh 2017, bank job bangladesh circular, bank job bd circular, bank job bd guide বিসিএস, বিসিএস প্রস্তুতি, বিসিএস সিলেবাস, বিসিএস প্রশ্ন, বিসিএস বই ডাউনলোড, বিসিএস লিখিত পরীক্ষার বই, বিসিএস কি, বিসিএস পরীক্ষা, বিসিএস পুলিশ ক্যাডার, বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস, বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার, বিসিএস প্রস্তুতি বই ডাউনলোড, বিসিএস প্রস্তুতি ৩৮, বিসিএস প্রস্তুতি রুটিন, বিসিএস প্রস্তুতির বই, বিসিএস প্রস্তুতি প্রশ্ন, বিসিএস প্রস্তুতি pdf, বিসিএস সিলেবাস ৩৭তম, বিসিএস সিলেবাস ৩৮তম, বিসিএস সিলেবাস ৩৬তম, বিসিএস সিলেবাস ৩৫তম, বিসিএস সিলেবাস pdf, বিসিএস সিলেবাস ডাউনলোড, বিসিএসের সিলেবাস, বিসিএস এর সিলেবাস, ৩৮তম বিসিএস এর সিলেবাস, ৩৮ তম বিসিএস ৩৮ তম বিসিএস প্রস্তুতি, ৩৮ তম বিসিএস সিলেবাস, ৩৮ তম বিসিএস কবে হতে পারে, ৩৮ তম বিসিএস প্রিলি প্রস্তুতি, ৩৮ তম বিসিএস পরীক্ষা, ৩৮তম বিসিএস প্রিলি, ব্যাংক জব প্রস্তুতি বই, ব্যাংক জব প্রশ্ন, ব্যাংক জব সার্কুলার ২০১৭, ব্যাংক জব ২০১৭, ব্যাংক জবের প্রস্তুতি, ব্যাংক জব কোচিং, ব্যাংক জব সিলেবাস, ব্যাংক জব সলুশন,