Studypress News

জি-৭ সম্মেলন।

09 Jun 2015

ইউক্রেনে ‘আগ্রাসন’ বন্ধ করা না হলে রাশিয়ার ওপর আরও অবরোধ আরোপ করার হুমকি দিয়েছেন জি-৭-এর নেতারা। সেই সঙ্গে জঙ্গি হামলা মোকাবিলায় সামরিক শক্তির প্রয়োগ অব্যাহত রাখা বিষয়ে একমত হন তাঁরা। অঙ্গীকার করেন জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবিলায় শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের।

বিশ্বের প্রধান শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭-এর দুদিনের শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিন ৮/৬/২০১৫ তারিখ সোমবার নেতারা এ হুমকি, মতৈক্য ও অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করেন। জার্মানির দক্ষিণ বাভারিয়ার বিলাসবহুল এলমাউ ক্যাসল হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় এ সম্মেলন।

সম্মেলন শেষে নেতারা এক যৌথ ইশতেহারে বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার ওপর আরও নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ আরোপ করতে তৈরি। আমরা আবারও বলছি, ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে মিনস্কে সম্পাদিত চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন ও ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা না করা পর্যন্ত আরোপিত অবরোধ চলতে থাকবে।’

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুশপন্থী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সীমান্তে ৪০ হাজার সেনা মোতায়েনের অভিযোগ করার প্রেক্ষাপটে নেতারা রুশবিরোধী এ শক্ত অবস্থান নিলেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, ‘কার্যত এটি এখন প্রেসিডেন্ট পুতিনের জন্য ইস্যু হতে চলেছে। তাঁকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তিনি তাঁর দেশের অর্থনীতির ভগ্নদশা ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছ থেকে একঘরে হয়ে থাকা চালিয়ে যেতে চান কি না।’  

৭/৬/২০১৫ তারিখের আলোচনায় মিনস্ক চুক্তির বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার আহ্বান জানান ওবামা ও জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। 

পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহীদের সমর্থন করার কারণে রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে বেলারুশের মিনস্কে একাধিক বৈঠকে চুক্তি হয়েছে। তবে রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ করেছে।

ইউক্রেনের স্বায়ত্তশাসিত এলাকা ক্রিমিয়াকে রাশিয়া নিজের অংশ করে নেওয়ার প্রেক্ষাপটে সম্মেলনে তাদের কোনো প্রতিনিধিত্ব ছিল না। এ নিয়ে তিনবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে জি-৭ শীর্ষ বৈঠকের বাইরে রাখা হলো।

জি-৭-ভুক্ত দেশ হলো যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল জি-৭ নেতারা ‘আমন্ত্রিত অতিথি’ ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-এবাদি, নাইজেরীয় প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি ও তিউনিসীয় প্রেসিডেন্ট বেজি এসেবসির সঙ্গে ইসলামিক স্টেট (আইএস) এবং বোকো হারামের হুমকি মোকাবিলায় করণীয় ঠিক করার বিষয়েও আলোচনা করেন।