Studypress News
চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ পুরস্কার গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
29 Sep 2015
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সর্বোচ্চ সম্মান ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ নেওয়ার স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে পুরস্কারটি দেওয়া হয়েছে।
২৮/০৯/২০১৫ তারিখ নিউইয়র্কের একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার হাতে পুরস্কারটি তুলে দেন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও জাতিসংঘ পরিবেশ বিষয়ক কর্মসূচির (ইউএনইপি) নির্বাহী পরিচালক এখিম স্টেইনার।
পুরস্কার নেওয়ার পর শেখ হাসিনা বলেন, চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ বাংলাদেশের জনগণের অজেয় মনোভাব ও ঘুরে দাঁড়ানোর স্বীকৃতি। এখিম স্টেইনার বলেন, পরিবেশ সুরক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কাজ করার প্রয়োজনীয়তা শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন। বাংলাদেশ হচ্ছে প্রথম দেশ, যে জলবায়ু পরিবর্তন কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং আরও অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
এ বছর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ‘নীতিমালাবিষয়ক নেতৃত্ব’ শ্রেণিতে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা ছাড়া এ বছর ইউনিলিভারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পল পোলম্যান, দক্ষিণ আফ্রিকার বন্য প্রাণী রক্ষা কর্মীদের দল ব্ল্যাক মামবা এপিইউ, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি, ব্রাজিলের প্রসাধনী প্রস্তুতকারক কোম্পানি নেটুরা ও ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটিকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই পুরস্কার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমাদের জনগণের চেতনা ও সহিষ্ণুতার একটি স্বীকৃতি। আমি আমার জনগণের পক্ষে এই পুরস্কার গ্রহণ করছি। তাদের সমর্থন ছাড়া এটা পুরোপুরি অসম্ভব ছিল।’
অনুষ্ঠানে নতুন গৃহীত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ সমর্থন করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশ কখনো বিদেশি তহবিলের জন্য অপেক্ষা করেনি। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উন্নত দেশগুলো পর্যাপ্ত অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কথা রাখেনি। বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব বাজেট থেকে ঝুঁকি মোকাবিলার লক্ষ্যে ব্যবস্থা রেখেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ২০০৯ সাল থেকে বিদ্যমান হুমকি মোকাবিলার জন্য নিজস্ব সম্পদ আহরণ ও জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে চলেছে। বাংলাদেশের উদ্ভাবনী জনগণ ও স্থানীয় সমাধান জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য এনেছে। ৪০ লাখ বাড়িতে সৌরবিদ্যুৎ চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম ‘সোলার জাতি’ হয়ে উঠেছে। জলবায়ু চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারকে ছাড়িয়ে গেছে। ফলে ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। এটি উন্নয়নের আরেকটি অভূতপূর্ব নজির।