Studypress News
চীনে One Belt One Road সম্মেলন শেষ
16 May 2017
বেইজিংয়ে আয়োজিত দুই দিনের সম্মেলনের শেষ দিনে (১৫ই মে, ২০১৭) এক ঘোষণাপত্রে সই করেন স্বাগতিক চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানসহ ৩০টি দেশের নেতারা। এ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক শিরোনাম বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরাম ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন।
বিশ্ব অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রয়োজনীয়তাকে স্বীকৃতি দিয়ে নথিতে সই করা শীর্ষ নেতারা এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে সংযোগ বাড়ানোর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
‘এক অঞ্চল, এক পথ’ বা নতুন রেশমপথের উদ্যোগ নিয়ে আশাবাদী হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে বলে গতকাল চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং মন্তব্য করেন।
চীনের প্রেসিডেন্টের জোর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সম্মেলনের দলিলে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত কয়েকটি দেশ যেমন ফ্রান্স, জার্মানি, এস্তোনিয়া, গ্রিস ও পর্তুগাল স্বাক্ষর করেনি। এই দলিলে নাম লেখায়নি যুক্তরাজ্যও। যদিও যুক্তরাজ্য ও গ্রিসের পক্ষ থেকে চীনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে।
পরবর্তী বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরাম ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হবে। নতুন রেশমপথের উদ্যোগে অতিরিক্ত ১২ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন চীনের প্রেসিডেন্ট। এর আওতায় এশিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত ও ইউরোপ পর্যন্ত বন্দর, সড়ক, রেলপথ পুনর্নির্মাণ এবং শিল্প পার্ক তৈরি করা হবে। আফ্রিকা, এশিয়া আর ইউরোপের সঙ্গে নিজের দেশকে সংযুক্ত করার এ উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক পরিকল্পনাকে ‘শতাব্দীর পরিকল্পনা’ হিসেবে অভিহিত করেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ অর্থনীতির দেশ চীনের প্রেসিডেন্ট।
চীনা প্রেসিডেন্ট এমন এক মুহূর্তে বিশ্বায়নের পক্ষে জোরালো অবস্থান নিলেন, যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি হাতে নিয়েছে। কোনো কোনো রাষ্ট্র চীনের এই উদ্যোগকে তাদের ভূরাজনৈতিক ক্ষমতা প্রদর্শনের একটি উপলক্ষ হিসেবে দেখলেও চীনা প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন, এটি সবার জন্যই উন্মুক্ত।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেসহ অন্তত ২৯টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানেরা এতে অংশ নেন। ভারত এই সম্মেলনে অংশ নেয়নি। বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলো প্রতিনিধি পাঠায়। সব মিলিয়ে বিশ্বের এক শর বেশি দেশের প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছেন দুই দিনের এই সম্মেলনে। এক অঞ্চল, এক পথ নামের এই উদ্যোগের অন্যতম প্রকল্প চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি) পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের মধ্যে গেছে বলে এর বিরোধিতা করছে ভারত।