Studypress News
মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি আবার পেছাল।
09 Nov 2015
বেসরকারি রপ্তানিকারকদের (জিটুজি প্লাস) যুক্ত করে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানির বিষয়টি আবারও পিছিয়ে গেল। এ সংক্রান্ত দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারকের খসড়া আজ সোমবার মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলেও সেটি শেষ মুহূর্তে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, মালয়েশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা না হওয়ায় সমঝোতা স্মারকের খসড়া প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বেসরকারি জনশক্তি রপ্তানিকারকদের যুক্ত করেই সে দেশে কর্মী পাঠানো হবে। এই প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়ায় যেতে জনপ্রতি খরচ ৪০ হাজার টাকার মধ্যে রাখার চেষ্টা করছে সরকার। আর কর্মীদের যাবতীয় তথ্য অনলাইনের মাধ্যমে আদান-প্রদান করা হবে।
বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির অন্যতম বাজার মালয়েশিয়া হলেও নানা অনিয়ম ও প্রতারণার কারণে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দেয় দেশটি। এরপর ২০১২ সালের নভেম্বরে দুই দেশের মধ্যে জিটুজি পদ্ধতিতে কর্মী নেওয়ার চুক্তি হলে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য প্রায় ১৪ লাখ ৫০ হাজার লোক নিবন্ধন করেন। এর মধ্যে থেকে গত তিন বছরে প্রায় আট হাজার কর্মী দেশটিতে গেছেন। তবে জিটুজির বাইরে ব্যক্তিগতভাবে এখন অনেকেই মালয়েশিয়া যাচ্ছেন, যেটি গত তিন বছর বন্ধ ছিল।
চলতি বছরের মে-জুন মাসে সাগরপথে মানব পাচার, গণকবর ও নির্যাতন নিয়ে তীব্র সমালোচনার মধ্যে মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে বিপুলসংখ্যক কর্মী নেওয়ার প্রস্তাব দেয়। প্রথমে জনশক্তি পাঠানোর কাজটি বেসরকারি পর্যায়ে (বিজনেস টু বিজনেস পদ্ধতি বা বি টু বি) ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হলেও এখন ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে কর্মী পাঠানোর বিষয়ে দুই দেশ একমত হয়েছে। ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতি হলো জনশক্তি রপ্তানির বিষয়টি সরকারের হাতে থাকবে। তবে সরকার চাইলে এ কাজে বেসরকারি জনশক্তি রপ্তানিকারকদেরও যুক্ত করতে পারবে।