Studypress News

ওষুধশিল্পের জন্য এক সুখবর!

09 Nov 2015

সুসংবাদটি বাংলাদেশসহ সব স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) জন্যই। আর সেটি হচ্ছে আরও ১৭ বছর অর্থাৎ ২০৩৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ওষুধশিল্পকে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মেধাস্বত্ব-সম্পর্কিত চুক্তির বিধিবিধান মানতে হবে না। এ অব্যাহতির মেয়াদ ছিল এত দিন চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সচিবালয়ে গত ৮ই নভেম্বর, ২০১৫ (রোববার) ওষুধশিল্প খাতে মেধাস্বত্বে ছাড় পাওয়ার বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এ তথ্য জানান। বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি (বিএপিআই) নাজমুল হাসান, সাবেক মহাসচিব আবদুল মুক্তাদির, বাণিজ্যসচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক অমিতাভ চক্রবর্তী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ডব্লিউটিওর যাত্রা শুরুর বছর (১৯৯৫) থেকেই এর সদস্যরাষ্ট্রগুলো বাণিজ্য-সম্পর্কিত মেধাস্বত্ব অধিকার (ট্রিপস) চুক্তি বাস্তবায়নে অঙ্গীকার করে। উন্নত, উন্নয়নশীল ও এলডিসি—এ তিন ভাগে ভাগ করে বাস্তবায়নের জন্য দেশগুলোকে আলাদা সময় দেওয়া হয়। উন্নত ১, উন্নয়নশীল ৫ ও এলডিসিকে ১১ বছর সময় দেওয়া হয় তখন। তিন শ্রেণির দেশই অবশ্য পরে বাড়তি সময় পায়।
কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত কোনো জ্ঞান, শিল্প বা বিষয়ের ওপর ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে যে স্বত্বাধিকার দেওয়া হয়, সেটাই হচ্ছে মেধাস্বত্ব। মেধাস্বত্ব থেকে মেধার স্বত্বাধিকারী আর্থিক সুবিধা পায়।