Studypress News
মালদ্বীপে ৩০ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা।
04 Nov 2015
প্রধান বিরোধী দলের সরকার বিরোধী সমাবেশ বের করার ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট দেশজুড়ে ৩০ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করেছেন।
বুধবার প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিনের ঘোষিত জরুরি অবস্থার আওতায় নিরাপত্তা বাহিনী সন্দেহভাজন যে কাউকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাবে।
ট্যুইটারে প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র মুয়াজ আলি বলেন, "প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন।"
দুইদিন আগে মালদ্বীপিয়ান ডেমক্রাটিক পার্টি (এমডিপি) দেশব্যাপী সরকার বিরোধী সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়।
সন্ত্রাস-বিরোধী আইনে গ্রেপ্তার হওয়ার পর মার্চ থেকে কারাগারে আছেন এমডিপি প্রধান মোহাম্মদ নাশিদ।
অ্যাটর্নি-জেনারেল মোহাম্মদ অনিল বলেন, কয়েকদিন আগে আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরকের গোপন ভাণ্ডার আবিষ্কার হয়েছে। মারাত্মক অস্ত্র ব্যবহারের পরিকল্পনার কথাও জানা গেছে।
তিনি বলেন, "সেনাবাহিনী ও পুলিশ দুই জায়গায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক পেয়েছে।"
"যেহেতু এগুলো দেশ ও জাতির জন্য হুমকি, তাই জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ মালদ্বীপের জনগণের সুরক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।"
এর আগে সোমবার নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, প্রেসিডেন্ট ভবনের কাছে পেতে রাখা একটি বোমা তারা নিষ্ক্রিয় করেছে।
২৮ সেপ্টেম্বর হজ পালন শেষে দেশে ফেরার পর বিমানবন্দর থেকে রাজধানী মালে ফেরার পথে প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনকে বহনকারী স্পিডবোটে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রেসিডেন্ট আঘাত না পেলেও তার স্ত্রী ও আরও দুই সফরসঙ্গী আহত হন।
শুরুতে দুর্ঘটনা বলা হলেও পরে এটি প্রেসিডেন্টকে হত্যার পরিকল্পনা বলে জানায় দেশটির কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গত মাসে মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ আদিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর থেকেই দেশটিতে রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে।