Studypress News
তুরস্কের পার্লামেন্ট নির্বাচনে একেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা
02 Nov 2015
তুরস্কে গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ পার্লামেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি) দৃশ্যত স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে। গতকাল ৯৫ শতাংশ ভোট গণনা হওয়ার পর এ আভাস পাওয়া যায়। রাষ্ট্র পরিচালিত আনাদোলু বার্তা সংস্থার হিসাবে একেপি ৪৯ দশমিক ৫ ও প্রধান বিরোধী দল সিএইচপি ২৫ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
তুরস্কে গত পাঁচ মাসের মধ্যে এটি দ্বিতীয় নির্বাচন। নিরাপত্তাব্যবস্থার অবনতি, অর্থনীতির দুরবস্থা ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে তুর্কিরা ভোট দেয় এবার।
কুর্দিপন্থী এইচডিপি ও জাতীয়তাবাদী এমএইচপি আসন পাওয়ার জন্য আসনের ১০ শতাংশ ভোটের সীমা অতিক্রম করতে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছিল। একেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে এককভাবে সরকার গঠন করতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছিল। তবে তারা সম্ভবত প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বাড়ানোর প্রশ্নে গণভোট ডাকতে সংবিধান সংশোধনের মতো প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না।
প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের রাজনৈতিক দল একেপি গত জুনে অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তখন একটি জোট সরকার গড়তেও ব্যর্থ হয় তারা। এ ধরনের ঘটনা গত ১৩ বছরে এই প্রথম। সাম্প্রতিক সহিংসতা, অর্থনৈতিক অবনতি ও অন্যান্য সমস্যার কারণেই দলটির জনপ্রিয়তা কমেছে বলে ধারণা করা হয়।
কুর্দি জঙ্গিরা সম্প্রতি তুরস্কে বারবার হামলা করেছে। প্রতিবেশী দেশ সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। পশ্চিমা সামরিক জোটের সদস্যরাষ্ট্র তুরস্কে দুই দফা আত্মঘাতী বোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ১৩০ জনের বেশি মানুষ। জিহাদি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সমমনা জঙ্গিদের ওই দুটি হামলার জন্য দায়ী করা হয়।
বিনিয়োগকারী এবং পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর আশা, গতকালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তুরস্কের স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক আত্মবিশ্বাস ফিরে আসবে। এতে ইউরোপে চলমান শরণার্থী-সংকট নিরসনে সহযোগিতা করতে পারবে তুরস্ক।